কাছাড়ের দুই দুর্বৃত্তের আগরতলাগামী ই-রিকশা বোঝাই ট্রাক ছিনতাই করার প্রয়াস রুখল জনতা
মেঘালয়ের একটি টোল গেটে দুই ব্যক্তি একটি ট্রাক থামিয়ে লিফটের জন্য অনুরোধ করে। ট্রাক চালক মোহাম্মদ কায়ুম সাহায্য করতে রাজি হন। HR-63-C 2001 ট্রাকটি ই-রিকশায় বোঝাই ছিল। কায়ুম জানান, ট্রাকটি নয়াদিল্লিতে বোঝাই করা হয়েছিল এবং আগরতলায় আনলোড হওয়ার কথা।
“দুই তরুণ ব্যক্তি জানায় যে তারা কালাইন যেতে কিন্তু রাস্তায় আটকা পড়েছে এবং তাদের সাহায্যের প্রয়োজন। তাই, আমি সাহায্য করতে রাজি হই এবং তাদেরকে গাড়িতে উঠিয়ে নেই। কিছুক্ষণ পর তারা গাড়ি চালানোর অনুরোধ করে। তারা বারবার জোর দেওয়ার পর, আমি রাজি হয়ে গেলাম এবং দুজনের মধ্যে একজন চালকের আসনে বসে,” কাউয়ুম বলেন।
ঐ দুই ব্যক্তি হল কালাইনের নাতানপুর এলাকার আনসারুল হুসাইন এবং বদরপুর ঘাটের সঞ্জয় মালাকার। কাউয়ুম আরো বলেন, আনসারুল চালকের আসন থেকে নামতে অস্বীকার করলে তার সন্দেহ হয়। “ঐ লোকটি অন্য একটা পথ নিয়েছিল এবং যখন আমি তাকে এই বিষয়ে জিজ্ঞাসা করি, সে আমাকে বলে যে এটি একটি শর্টকাট। কলাইন পৌঁছে ঐরা বলে তারা বদরপুর যাবে । আমরা বদরপুরের কাছে যেতেই সে আবার অন্য দিকে মোড় নেয়। আমি তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর, সে বলেছিল যে সে চেক গেট এড়িয়ে আমার অর্থ সাশ্রয় করছে। আমি তাকে বারবার বলেছিলাম যে আমি সমস্ত চালান কেটেছি এবং আমার কাছে লুকানোর কিছুই নেই। কিন্তু সে একটি সরু রাস্তা ধরেছিল এবং আমার কথা শোনছিল না,” কাউয়ুম জানান।
ট্রাকটি কালাইন থেকে গনিরগ্রাম বাজার এলাকায় পৌঁছানোর সাথে সাথে কাউয়ুম যতটা সম্ভব জোরে চিৎকার শুরু করেন। তার পাশে বসা সঞ্জয় মালাকার তার গলা চেপে ধরার চেষ্টা করেছিল। কিন্তু ততক্ষণে স্থানীয়রা লক্ষ্য করে যে ট্রাকে কেউ সমস্যায় আছে এবং গাড়িটিকে ধাওয়া করতে শুরু করে। অবশেষে এলাকাবাসী ট্রাকটি থামাতে সক্ষম হয় এবং ঘটনাটি স্থানীয় পুলিশকে জানায়।
কাটিগড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মনোজ নারজারি জানান, ভাঙ্গারপাড় পুলিশ টহল পোস্ট বিষয়টি তদন্ত করছে এবং দুষ্কৃতীদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
অনুমান করা যাচ্ছে যে , এই ঘটনা ট্রাক ছিনতাই করার চেষ্টা । স্থানীয়দের সময়মত হস্তক্ষেপে ছিনতাইয়ের চেষ্টা ব্যর্থ হয়। চালক কাউয়ুমের জীবনও ঝুঁকির মধ্যে ছিল কারণ দুই দুষ্কৃতী জঙ্গলের গভীরে ট্রাকটি নিয়ে যাবার চেষ্টা করছিল।
Comments are closed.