শিলচরের প্রতিমা নিরঞ্জন স্থলে অঘটন: সদরঘাটে ডুবন্ত মানুষকে উদ্ধার করল দুর্যোগ মোকাবিলার জওয়ানরা
আজ সকাল নয়টা থেকে শিলচর সদরঘাটের বিসর্জন স্থলে দুর্গা প্রতিমা নিরঞ্জন শুরু হয়েছে। কাছাড় জেলা প্রশাসন পুজো কমিটি এবং পারিবারিক পুজার জন্য কিছু নিয়ম -কানুন বেঁধে দিয়েছে । সকালে পারিবারিক পূজা গুলোর প্রতিমা বিসর্জনের জন্য স্লট বরাদ্দ করা হয়েছিল।
পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিমা নিরঞ্জন প্রক্রিয়া চলছিল, হঠাৎ করে এক অঘটন পুরো প্রক্রিয়াটিকে ব্যাহত করে। আবাসিক দুর্গাপূজার সঙ্গে যুক্ত এক ব্যক্তি প্রতিমা বিসর্জনের সময় গভীর নদীতে ঝাঁপ দিয়ে দেন। যদি ও তিনি সাঁতার কাটতে শুরু করেছিলেন, কিন্তু জলের প্রবল স্রোত তাকে মাঝ নদীর দিকে সরিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। লোকটিকে মাঝখান দিয়ে প্রবাহিত হতে দেখে, রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (SDRF) এবং জাতীয় দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী (NDRF) সাথে সাথে উদ্ধার অভিযান শুরু করে।
লাইফবোট ব্যবহার করে জওয়ানরা ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। উদ্ধার অভিযানের পর, এনডিআরএফ-এর উপ-পরিদর্শক গজেন্দ্র সিং বলেন, ” সম্ভবত লোকটি অ্যালকোহলের প্রভাবে ছিল এবং সে স্বেচ্ছায় নদীতে ঝাঁপ দিয়েছিল। যেহেতু সে নেশাগ্রস্ত ছিল, তাই আমরা বুঝতে পারি যে সে নদী পেরোতে পারবে না। সেজন্য আমরা তড়িঘড়ি লোকটির উদ্ধার অভিযান শুরু করি। ”
গজেন্দ্র সিংহ আরও বলেন, “তাকে উদ্ধারের পর আমাদের জওয়ানরা তাকে পুলিশ কর্মকর্তাদের কাছে হস্তান্তর করেছে এবং সে এখন ভালো আছে। আমরা নিশ্চিত করতে পারি যে, লোকটির কোন বড় ধরনের ক্ষতি হয়নি।”
কাছাড় জেলার পুলিশ সুপার রমনদীপ কৌর বিসর্জন ঘাট পরিদর্শন করেছেন এবং বিসর্জন প্রক্রিয়া প্রত্যক্ষ করেছেন। এখন পর্যন্ত, ৫৬ সেট প্রতিমা বিসর্জন করা হয়েছে। এসপি বলেন, “আমরা আসাম সরকারের এসওপি অনুসরণ করছি, জেলায় নিরাপদে নিরঞ্জন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।”
Comments are closed.