Also read in

ত্রিপুরায় হিংসার বিরুদ্ধে কাটিগড়ায় বিক্ষোভ; "নবীকে অসম্মান করলে চুপ থাকব না," বিক্ষোভকারী

ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া আজ ত্রিপুরায় সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের নিন্দা জানিয়ে কাটিগড়ায় একটি প্রতিবাদ মিছিল করে। কয়েকশ যুবক এই সমাবেশে যোগ দান করে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, আরএসএস এবং ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের বিরুদ্ধে তারা স্লোগান দেয়।

কাটিগড়া সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুল থেকে তাদের বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। কোন ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে বিপুল সংখ্যক নিরাপত্তা কর্মী মোতায়েন করা হয়েছিল এবং কাটিগড়া স্কুল থেকে কয়েক মিটার এগিয়ে যাওয়ার পরই নিরাপত্তা কর্মীরা মিছিল থামিয়ে দেয়।

“ত্রিপুরায় ভিএইচপি, আরএসএস অমানবিকভাবে মুসলমানদের ওপর যে অত্যাচার করছে তা দেখে চুপ থাকতে পারি না; তাই, আমরা ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার কাছাড় জেলা কমিটি থেকে এই সমাবেশের আয়োজন করেছি,” আয়োজকরা জানিয়েছেন।

“দুর্গা পূজার সময় বাংলাদেশে যা ঘটেছে আমরা তার নিন্দা করেছি, এমনকি আমরা বাংলাদেশের সহিংসতার নিন্দা জানিয়ে একটি প্রতিবাদ সমাবেশও করেছি, কিন্তু কেন ভিএইচপি, আরএসএস বাংলাদেশের ঘটনাকে অজুহাত বানিয়ে ত্রিপুরায় নিরীহ মুসলমানদের উপর হামলা করছে?” প্রতিবাদ মিছিল থেকে ক্যাম্পাস ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়ার এক সদস্য প্রশ্ন করেন।

“ওরা আমাদেরকে মোল্লা, মুসলমান বলে গালি দেয়; তারা যাই বলুক আমরা সহ্য করি, কিন্তু কেউ আমাদের নবীকে গালি দিলে আমরা চুপ থাকতে পারি না। আমরা শুনেছি যে, তারা আমাদের নবীর বিরুদ্ধে অবমাননাকর স্লোগান দিয়েছে। আমাদের নবীকে গালি দেওয়া হলে বা আক্রমণ করলে আমাদের বাঁচা মরা সমান। আমরা তাদের সহিংসতা বন্ধ করার জন্য অনুরোধ করছি এবং অনুরোধ করছি আমাদের শান্তিতে থাকতে দেওয়ার জন্য,” তিনি যোগ করেন।

সহযোগিতা করার জন্য তিনি পুলিশ ও নিরাপত্তাকর্মীদের কৃতিত্বও দেন। তিনি বলেন, “আজ আমাদের এসপি, এডিসি এবং সমস্ত নিরাপত্তাবাহিনীর ব্যক্তিরা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ আয়োজনে আমাদের সহায়তা করেছেন।”

ত্রিপুরায় এসপি ও অন্যান্য প্রশাসকদের সিবিআই তদন্তের আওতায় আনার দাবিও জানিয়েছে তারা।

ত্রিপুরা সাম্প্রদায়িক সংঘর্ষের অভূতপূর্ব তরঙ্গ প্রত্যক্ষ করছে, যা বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের বিরুদ্ধে সাম্প্রতিক সহিংসতার প্রতিক্রিয়া বলে মনে করা হয়। গত চার দিনে উত্তর ত্রিপুরা জেলা থেকে ১০ টিরও বেশি ধর্মীয় সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। ত্রিপুরার বেশ কয়েকটি অংশে, দক্ষিণপন্থী হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি প্রতিবাদ সমাবেশের ডাক দেয় যা শেষ পর্যন্ত হিংস্র হয়ে ওঠে এবং সংখ্যালঘুদের নিজস্ব সম্পত্তি, ব্যবসা এবং মসজিদের বিরুদ্ধে তাণ্ডব চালায়। ত্রিপুরার আশেপাশের ১৫০টি মসজিদে নিরাপত্তারক্ষী মোতায়েন করেছে ত্রিপুরা পুলিশ।

Comments are closed.