Also read in

“রাজ মজুমদারকে হত্যার জন্য আমার বাবা ১০ লক্ষ টাকা দিয়েছেন”, সোনাই রোডের 'নিখোঁজ' মেয়ের বিস্ফোরক ভিডিও

শিলচরের ইয়ামাহা শোরুমের মালিক তথা অন্যান্য ব্যবসার সাথে জড়িত শিল্পপতি মনসুর আলম মজুমদারের হাই প্রোফাইল মামলাটি আরও একটি নতুন মোড় নিয়েছে। তিনি অভিযোগ করেছিলেন রাজ ড্রাইভিং স্কুলের রাজ মজুমদার তাঁর ১৯ বছরের মেয়েকে অপহরণ করেছে। তিনি আশঙ্কা করছিলেন যে তার মেয়ের জীবন সংশয় রয়েছে। তিনি স্থানীয় জননেতাদের সাথে কাছাড়ের জেলা শাসক এবং পুলিশ সুপারের সাথে দেখা করেছিলেন।

২৪ ঘন্টার মধ্যে, তার মেয়ে আরেকটি ভিডিও প্রকাশ করেছে যাতে একই ফ্রেমে রাজ মজুমদারকে ও দেখা যায়। সাহেবা মজুমদার পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে একজন প্রাপ্তবয়স্ক হিসাবে, তিনি আইনত রাজ মজুমদারকে বিয়ে করেছেন এবং এটি তার ইচ্ছা অনুসারে হয়েছে। তিনি যোগ করেছেন যে, রাজ মজুমদারের সাথে পালিয়ে যাওয়ার আগে তিনি তার বাবা-মাকে জানিয়েছিলেন। ভিডিওতে প্রকাশিত চমকপ্রদ ঘটনা হল যে, তিনি তার বাবাকে ষড়যন্ত্রের জন্য দায়ী করেছেন।

“আমি দেখেছি এবং পড়েছি যে, আমার বাবা বলেছেন আমার শাশুড়ি আমাকে অপহরণ করেছে। এগুলো ভিত্তিহীন অভিযোগ। আসলে, আমার বাবা চেয়েছিলেন যে, আমার শাশুড়ি চাকরি থেকে পদত্যাগ করুন। তিনি তা মেনে না নেওয়ায় তিনি তার নাম টেনে নিয়ে এসেছেন এবং প্রতিহিংসামূলক ভাবে মানহানি করছেন,” বলেন সাহেবা মজুমদার।

সাহেবা মজুমদার যোগ করেন, “আমরা পলাতক কারণ আমরা জানি যদি আমরা আমাদের ঠিকানা জানাই, তবে এর বিপজ্জনক পরিণতি হবে। আমার বাবা ইতিমধ্যেই আমার স্বামীকে মেরে ফেলার জন্য তার মাথার জন্য দশ লক্ষ টাকা ধার্য করেছেন। এই বর্বরতাকে আমরা ভয় পেয়েই আমরা পালিয়ে বেড়াচ্ছি। আমাদের লুকানোর কিছু নেই, আমরা বিবাহিত এবং আমরা আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান করি। আমার বাবা আমার স্বামীকে মেরে ফেলার চেষ্টা করছেন এবং তারা আমার সাথে ঐ যেকোনো কিছু করতে পারেন।”

বরাক বুলেটিনের সাথে কথা বলার সময়, মনসুর আলম মজুমদার এই ভিডিও নিয়ে তার প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। “এগুলি খুবই দুঃখজনক এবং আমি জানি না ঘটনা কোথায় যাচ্ছে। পুলিশের কাছে আমার একটাই অনুরোধ, তারা যেন তাকে আটক করে বিচারকের সামনে হাজির করে। আমি বিশ্বাস করি সংবিধানই শেষ কথা এবং দেশের আইনকেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তার যা বলার, কোনো চাপ ছাড়াই তা বিচারকের কাছে বলতে দিন,” বলেছেন মনসুর আলম মজুমদার।

তিনি যোগ করেন, “আমার মেয়ে কোভিড-১৯ দ্বারা সংক্রামিত হয়েছিল এবং আমি মনে করি তার কাউন্সেলিং প্রয়োজন। ভালো হবে যদি কাছাড় পুলিশ তাকে আটক করে একজন কাউন্সেলরের কাছে পাঠায় যে তার মানসিক অবস্থা পরীক্ষা করতে পারে। আমার মেয়ের বয়স মাত্র ১৮ এবং আমি জানি না সে কী প্রভাবের অধীনে রয়েছে। তাই অনেক দেরি হওয়ার আগেই পুলিশের কাজ করার সময় এসেছে।”

Comments are closed.