ঘুমন্ত স্ত্রীকে কুপিয়ে খুন করে রক্তমাখা দা নিয়ে থানায় আত্মসমর্পণ, চাঞ্চল্য এলাকা জুড়ে
স্বামীর দায়ের কোপে ঘটনাস্থলেই প্রাণ গেল স্ত্রীর। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার আনুমানিক ৮.৩০ নাগাদ লক্ষীপুর মহকুমার অন্তর্গত বিন্নাকান্দি বাগান জিপির ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ।
নিজ বাস গৃহে শুয়ে থাকা অবস্থায় ২৬ বছর বয়স্ক মঙ্গল রিকিয়াসন তার নিজের স্ত্রী জবা রিকিয়াসন উরফে পুনিকে ধারালো দা দিয়ে গলার মধ্যে বেশ কয়েকবার কোপ বসিয়ে দেয়। দায়ের কোপের ফলে জবার রিকিয়াসনের ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
ঘটনা সংঘটিত করে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় স্বামী মঙ্গল রিকিয়াসন। ঘটনার বিবরণে জানা যায় যে, বৃহস্পতিবার রাতে ২৫ বছর বয়সের জবা রিকিয়াসন উরফে পুনি তার দুই সন্তান একটি দেড় বছরের পুত্র এবং পাঁচ বছরের কন্যা সন্তানের সাথে স্বামীগৃহে ঘুমোচ্ছিলেন। আনুমানিক রাত ৮.৩০ মিনিট নাগাদ হঠাৎ করে স্বামী মঙ্গল রিকিয়াসন ঘরের দরজা খুলে ঘরের ভিতরে ঢুকে তার স্ত্রী জবা রিকিয়াসনকে গলায় দা দিয়ে বেশ কয়েকবার আঘাত করে। এই ঘটনায় তার পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান চিৎকার করতে শুরু করে। শিশুর চিৎকারের আওয়াজ পেয়ে পাশের বাড়িতে থাকা মঙ্গল রিকিয়াসনের বৌদি ও তার মা ঘর থেকে বের হয়ে দেখেন মঙ্গল রিকিয়াসন রক্তমাখানো একটি দা হাতে নিয়ে উঠানে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তখন মা মঙ্গল রিকিয়াসনের বাড়ির ভিতরে ঢুকে দেখেন জবা রিকিয়াসনের মৃতদেহ পড়ে আছে এবং গলায় দায়ের কোপের আঘাত। শিশু সন্তানদের ঘর থেকে বের করে এনে তার মা মঙ্গলের কাছে এই মর্মান্তিক ঘটনা সম্বন্ধে জানতে চান। মঙ্গল রিকিয়াসন তার মা-ও বৌদিকেও প্রাণে মারার হুমকি দেয়। তখন প্রাণের ভয়ে মা আর বৌদি সন্তান দুটিকে নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে সরে গিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীদেরকে ডাক দেন। তখনই মঙ্গল রিকিয়াসন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
খবর দেওয়া হয় লক্ষীপুর পুলিশকে; লক্ষীপুর মহকুমার পুলিশ প্রধান কুল প্রদীপ ভট্টাচার্য ও লক্ষীপুর থানা এস আই টিকেন্দ্রজিত সিং দল বল নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে মৃতদেহটি হেফাজতে নিয়ে ময়না তদন্তের জন্য শিলচর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। কিছুক্ষণ পর স্ত্রীর হত্যাকারী মঙ্গল রিকিয়াসন রক্তমাখা দা নিয়ে লক্ষীপুর থানায় এসে আত্মসমর্পণ করে। এই মর্মান্তিক হত্যার সঠিক কারণ জানা যায়নি। তার বিরুদ্ধে লক্ষীপুর থানায় একটি মামলা নথিভুক্ত করে শুক্রবার লক্ষীপুর আদালতে হাজির করা হয় তাকে ।
Comments are closed.