Also read in

সাহেবা মজুমদার বাবার সাথে বাড়িতে গেলেন; রাজ মজুমদার জামিনের অপেক্ষায় রয়েছেন কারাগারে

অপহরণ, অঙ্গ পাচার এবং হত্যার অভিযোগ থেকে শুরু করে এখন মেয়েকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়া!  রাজ মজুমদার এবং সাহেবা মজুমদারের মামলাটি বিভিন্ন টানাপোড়েনের মধ্য দিয়ে দীর্ঘ পথ পেরিয়ে এসেছে।

হাই প্রোফাইল ব্যবসায়ী মনসুর আলম মজুমদারের মেয়ে ১৯ বছর বয়সী সাহেবা মজুমদার পুনের একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। মনসুর আলমের অভিযোগ অনুযায়ী অক্টোবরে তিনি নিখোঁজ হন। এরপর তিনি পুনে গিয়ে পাউড থানায় এফআইআর দায়ের করেন। তাঁর অভিযোগ, রাজ ড্রাইভিং স্কুলের স্বত্বাধিকারী রাজ মজুমদার তাঁর মেয়েকে অপহরণ করেছে। তিনি কাছাড়ের এসপি রমনদীপ কৌরের সাথে দেখা করে বলেছিলেন যে তিনি আশঙ্কা করছেন তার মেয়ে হয়ত মারা গেছে। কাছাড় এসপি পুনেতে তার সহযোগীদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন করেন এবং দম্পতির সন্ধানে জায়গায় জায়গায় অভিযান শুরু করেন।

একদিকে যখন মনসুর আলম মজুমদার অভিযোগ দায়ের করছেন, একটার পর একটা অভিযোগ চাপাচ্ছেন, তখন তার মেয়ে ভিডিও প্রকাশ করে জানান যে, তিনি ভাল আছেন এবং রাজ মজুমদারকে বিয়ে করেছেন। মনসুর আলম ওই ভিডিও গুলোকে সাজানো বা চাপের মুখে প্রকাশ করার দাবি করে তা বাতিল করে দেন। ১৬ নভেম্বর, এক তথ্যের ভিত্তিতে, কাছাড় পুলিশ মেঘালয়ের পূর্ব জৈন্তিয়া পার্বত্য জেলার সদর দফতর – ক্লেরিয়েটে একটি অভিযান চালায়। সেখান থেকে রাজ মজুমদার, তার ভাই ও সাহেবা মজুমদারকে আটক করে কাছাড়ে নিয়ে আসা হয়।

আজ সাহেবা মজুমদারকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালতের কার্যক্রমের কার্যবিবরণী অজানা থাকলেও সাহেবা মজুমদারকে তার বাবা মনসুর আলম মজুমদারের সাথে বাড়িতে চলে যেতে দেখা গেছে। পারিবারিক সূত্র জানা যায়, সাহেবা মজুমদারের বাবা-মা গতকাল তার সাথে দেখা করে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এর পরে, তিনি রাজ মজুমদারের কোনও ক্ষতি না করার শর্তে তাদের সাথে বাড়িতে যেতে রাজি হন। সূত্র প্রকাশ করেছে যে আজ ও তিনি বলেছেন যে তিনি রাজ মজুমদারের সাথে স্বেচ্ছায় পালিয়ে গেছেন এবং রাজের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ নেই। তবে, জীবনের এই পর্যায়ে, তিনি তার বাবার সাথে বাড়ি যেতে চান। সাহেবা মজুমদারের পরিবারের সদস্যরা কথা বলতে রাজি হননি, তবে তাদের ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে যে, তারা বলেছেন যে পুলিশ সাহেবা মজুমদারকে এই শর্তে মনসুর আলম মজুমদারের সাথে বাড়িতে যেতে দেয় যে তিনি সর্বাবস্থায় তদন্তে সহযোগিতা করবেন এবং এই শহর ছেড়ে যেতে পারবেন না ।

এদিকে, রাজ মজুমদারের এখনও জামিন পায়নি এবং তাই তিনি কারাগারেই আছেন। সূত্র আরও জানিয়েছে যে মনসুর আলম মজুমদার রাজ মজুমদারের উপর চাপানো সমস্ত অভিযোগ প্রত্যাহার করবেন এবং দুটি পরিবার ইতিমধ্যেই সৌহার্দ্যপূর্ণ সম্পর্কের দিকে হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

Comments are closed.