Also read in

উধারবন্দ ইন্ডিয়ান অয়েল পাম্পে গোলমাল: ১১০ টাকায় ৬০০ মিলি লিটার পেট্রোল!

উপভোক্তারা যখন জ্বালানির দামের অত্যধিক মূল্যবৃদ্ধিতে নাজেহাল। পেট্রোল এবং ডিজেলের দাম সর্বকালের সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। এই পরিস্থিতিতে পেট্রোল পাম্পের অসদাচরণ নিয়ে বিতর্কের শেষ হবে বলে মনে হচ্ছে না। আজ উধারবন্দ পেট্রোল পাম্পেও এক বিপত্তি ঘটল। এক গ্রাহকের অভিযোগ যে, পেট্রোল পাম্প অপারেটর প্রদত্ত মূল্যের তুলনায় কম পরিমাণে পেট্রোল দিয়েছে।এরপর আরও কয়েকজন গ্রাহক পেট্রোল পাম্প চত্বরে তাৎক্ষণিকভাবে জড়ো হন এবং পেট্রোল পাম্প কর্তৃপক্ষের সাথে তর্ক করে প্রতিবাদ শুরু করেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে স্থানীয় পুলিশকে পেট্রোল পাম্পে ছুটে আসতে হয়।

আজিজুর লস্কর উধারবন্দ পেট্রোল পাম্পে একটি কন্টেইনার বোতলে ১১০ টাকার পেট্রোল নিতে যান। অপারেটর তাকে ৭৫০ মিলি লিটারের কোল্ড ড্রিংক্সের বোতলে ১১০ টাকার পেট্রোল দেয়। আজিজুর খানিকটা সন্দিগ্ধ হয়ে দেখছিলেন যে ৭৫০ মিলি লিটারের পাত্রে পেট্রোল দেওয়া হল, যেখানে ১ লিটার পেট্রোলের দাম আজ প্রায় ৯৫ টাকা থেকে সামান্য উপরে। আজিজুর সেই পেট্রোলটি নিয়ে নিজে পরীক্ষা করে দেখতে পান যে পেট্রোলের পরিমাণ মাত্র ৬০০ মিলি লিটার। কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে ভিড় জড়ো হয়ে পাম্পে হুলস্থূল সৃষ্টি হয়। স্থানীয় পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে এবং তারা পেট্রোল ভেন্ডিং মেশিন দিয়ে আবার পরীক্ষা করে।

“অতীতে পিসিও মালিকরা একটি ফোন কলের মিটার এবং তার দাম নিয়ে অসদাচরণ করতেন। সমস্ত মেশিন এবং কম্পিউটারে হেরফের করা যেতে পারে, শুধুমাত্র একটি সঠিক তদন্তই সত্যটি বের করে আনতে পারে,” সেই মুহুর্তে পাম্পে উপস্থিত একজন গ্রাহক বলছিলেন।

উধারবন্দ থানার ওসি বরাক বুলেটিনকে বলেন, পেট্রোল পাম্পের বিরুদ্ধে কোনো লিখিত অভিযোগ বা এফআইআর নথিভুক্ত করা হয়নি। পুলিশ বিষয়টি নিয়ে মামলা করতে অস্বীকার করেছে, তাই উধারবন্দ পেট্রোল পাম্পের এই অনিয়মের অভিযোগের সত্যতা জানতে আর কোনও তদন্ত করা হবে না।

এছাড়াও লক্ষণীয় যে, পেট্রোল পাম্পটি একটি প্লাস্টিকের ক্যানে জ্বালানি তেল সরবরাহ করেছিল, যা কাছাড় জেলা প্রশাসন দ্বারা ইতিমধ্যেই নিষিদ্ধ করা হয়েছে।

Comments are closed.