
'পবিত্র গাছ' কাটার ৯ দিন পরেও কোনও পদক্ষেপ নেই, প্রতিবাদে স্থানীয়দের মহাদেব টিলায় "মহা পুজন"
বিগত ১৭ই নভেম্বর বিহাড়ার ধলছড়ায় স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের একটি ঐতিহ্যবাহী উপাসনার স্থান খাসিয়া সম্প্রদায়ের দুর্বৃত্তরা ধ্বংস করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এই ঘটনায় স্থানীয় লোকজন বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে অভিযোগ দায়ের করেছেন। আজ, ঘটনার নয় দিন পর, স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়িতে মিছিল করে যান এবং ঘটনার পিছনে থাকা দুষ্কৃতীদের শীঘ্রই গ্রেফতার করতে দাবি জানান। পুলিশ আধিকারিকরা এবং বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ বিক্ষোভকারীদের প্রতিনিধির সাথে বৈঠক করে তিন দিনের মধ্যে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের কর্মীদের সহযোগিতায় বাসিন্দারা সেই জায়গায় পরের সোমবার একটি বিশেষ পুজো দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন৷ এমনকি ধলছড়া মহাদেব টিলাকে ঐতিহাসিক ও পবিত্র ধর্মীয় স্থান হিসেবে ঘোষণার দাবিও তুলেছেন তারা।
উল্লেখ্য, মহাদেব টিলায় একটি বিশাল বটগাছ ছিল যা ঐ এলাকায় বসবাসকারী হিন্দু মণিপুরী সম্প্রদায়ের দ্বারা পবিত্র বলে বিবেচিত হতো। ঐ গাছটি দুষ্কৃতীরা কেটে ফেলেছে বলে অভিযোগে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। স্থানীয় হিন্দুরা সাপ্তাহিক ও বাৎসরিক বিশেষ অনুষ্ঠানে ঐ স্থানে জড়ো হয়ে ঐ বটগাছের পূজা করতেন। তারা ‘খ্রিস্টান খাসি আগ্রাসনের’ নিন্দাও করেছেন এবং ঘটনার তদন্তের দাবি জানিয়েছেন। “এর পেছনে নিশ্চয়ই আরও বড় ষড়যন্ত্র রয়েছে। অন্যথায়, খাসি লোকেরা এই ধরনের কাজ করার সাহস করবে না,” বলেছেন বিহাড়ার বিশ্ব হিন্দু পরিষদের নেতা অমর দাস। বিহাড়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ আজ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, এবং তিনি খাসি সম্প্রদায়ের লোকজনকে তদন্তে সহযোগিতার জন্য থানায় আসতে বলেছেন। এসপি কাছাড় রমনদীপ কৌর আগে বলেছিলেন যে, কাছাড় পুলিশ ঘটনাটি তদন্ত করছে এবং আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কালাইন ফরেস্ট রেঞ্জ অফিসার পিংকু সিংও ঘটনার তদন্তে একটি দল পাঠিয়েছেন এবং বলেছেন যে কোনও অপরাধ সংঘটিত হলে বন বিভাগের আইন অনুযায়ী এফআইআর দায়ের করা হবে। স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকেরা স্থানীয় খাসি (খাসি পাহাড়ের একটি আদিবাসী সম্প্রদায়) জনগণের প্রতি তাদের ক্ষোভ ও আশংকা প্রকাশ করেছে। তারা এটাকে খ্রিস্টান ধর্মের অনুসারী খাসিদের ধর্মীয় আগ্রাসন বলে মনে করছেন।
Comments are closed.