Also read in

আদালত প্রদীপ দত্ত রায়ের মেডিকেল কাস্টডির অনুমতি দিল; এসএমসিএইচে স্থানান্তর করা হচ্ছে

আজ বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রধান আহ্বায়ক প্রদীপ দত্ত রায়ের আইনজীবীরা জেলা ও দায়রা জজ শ্রী ধ্রুপদ কাশ্যপ দাসের আদালতের দ্বারস্থ হন। রায়ের আইনজীবীরা চিকিৎসার জন্য জামিনের আবেদন করেন; অন্যথায় চিকিৎসার আওতায় নিয়ে আসার আবেদন জানান কারণ দত্ত রায়ের সম্প্রতি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হয়েছে।

আইনজীবীরা তার বিরুদ্ধে কাছাড় পুলিশের একটি স্বতঃপ্রণোদিত এফআইআর-এর বিরুদ্ধে ও যুক্তি তুলে ধরেন। ঐ এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছিল যে, তিনি মিডিয়া কর্মীদের লাঞ্ছিত করেছেন। বিচারককে কমপক্ষে ১০ জন সাংবাদিকের স্বাক্ষরিত আবেদনপত্র দেওয়া হয়, যেখানে বলা হয়েছে যে এসপি অফিসের প্রাঙ্গনে এমন কোনও ঘটনা আদৌ ঘটেনি।

সব কিছু বিচার বিবেচনা করে বিচারক ধ্রুপদ কাশ্যপ দাস শিলচর কেন্দ্রীয় কারাগারের ভিতরে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সুবিধা দেওয়া যায় কিনা তা বোঝার জন্য জেল সুপার ও জেলের মেডিকেল অফিসারকে আদালতে ডেকে পাঠান ।

অবশেষে সব বিষয় বিবেচনা করে আদালত প্রদীপ দত্ত রায়কে মেডিকেল কাস্টডিতে পাঠানোর আবেদন মঞ্জুর করেন। তাকে শিলচর মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে স্থানান্তর করতে জেল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছে আদালত। দত্তরায়কে অ্যাটাচড্ বাথরুম সহ একটি পৃথক কেবিনের ভিতরে রাখতে হবে কারণ এটি তার বর্তমান শারীরিক অবস্থায় ন্যূনতম প্রয়োজন। আদালতের রায়ে বলা হয়, দুজন পুলিশ কর্মকর্তা কেবিনটি পাহারা দেবেন এবং শুধুমাত্র পরিবারের সদস্যদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হবে।

সৌমেন চৌধুরীকে এই মামলায় সহায়তা করেন রাজেশ ধর, ভিক্টর দাস, অর্পণ রায়, প্রিয়াঙ্কা রায় প্রমুখ । চৌধুরী ও তার দল ছাড়াও প্রদীপ দত্ত রায়ের পক্ষে সওয়াল করেন দীপক দেব, ধ্রুব সাহা, আইনজীবী সমিতির সম্পাদক আবদুল হাই লস্কর, সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইমাদ উদ্দিন বুলবুল। সৌমেন চৌধুরী বলেন, “আমরা আদালতে আবেদন বিশেষভাবে করেছি যে, প্রদীপ দত্ত রায়ের লিভার ট্রান্সপ্লান্ট হওয়ায় সংক্রমণের প্রবণতা রয়েছে এবং আদালত আমাদের প্রার্থনা বিবেচনা করেছে।”

গত ২৭ নভেম্বর, মধ্যরাতের হুলস্থূলের পর প্রদীপ দত্তরায়কে ১০ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা বিচার বিভাগীয় রিমান্ডে “জেল হাজতে” পাঠানো হয়েছিল।

আদালত কেস ডায়েরি আহ্বান করেছে এবং ৬ ডিসেম্বর পুলিশের কেস ডায়েরি জমা দেওয়ার পর জামিনের আবেদনের শুনানি হবে। মামলাটি ১০ ডিসেম্বর শুনানির জন্য তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।

Comments are closed.