Also read in

একই মঞ্চে সুস্মিতা দেব, কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ; ভাষার জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

শিলচর রাজীব ভবনের কনফারেন্স হলে সরকার কর্তৃক প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করার প্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সম্মিলিত আওয়াজ উত্থাপন করার জন্য একটি নাগরিক সভা আহ্বান করা হয়েছিল রোববার। বর্তমানের একটি প্রবণতা হল ১২৪ ধারার অধীনে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে অভিযুক্ত করা । সম্প্রতি, বরাক ডেমোক্রেটিক ফ্রন্টের প্রধান প্রদীপ দত্ত রায়ের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আনা হয়েছিল যখন তিনি আসাম সরকারি ভাষা সংশোধনী আইন লঙ্ঘনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলেন। বরাক বুলেটিনে প্রকাশিত সম্পাদকীয়ের জন্য একজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে একই অভিযোগ আরোপ করা হয়েছিল।

সুস্মিতা দেব কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে এই প্রথম তিনি প্রাক্তন সহকর্মী এবং উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থের সাথে একই মঞ্চ ভাগাভাগি করলেন। আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন ভাইস চ্যান্সেলর, তপোধীর ভট্টাচার্যও এবং ইসলামিক স্কলার সারিমুল হক লস্করও সভায় উপস্থিত ছিলেন উপস্থিত ছিলেন। সাবেক বিধায়ক আতাউর রহমান মাজারভূইয়াও তার মতামত তুলে ধরেন।

কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ এবং সুস্মিতা দেব উভয়েই নিশ্চিত করেছেন যে, তারা বাঙালির পরিচয় রক্ষার আন্দোলনে তাদের পূর্ণ সমর্থন দেবেন। তারা অভিযোগ করেছেন যে, আসাম সরকার ১২৪-এ (বিদ্রোহ) এবং ১৪৪ সিআরপিসি ধারার অপব্যবহার করছে; এই প্রসঙ্গে সুস্মিতা দেব বলেন, প্রয়োজনে হাইকোর্ট বা সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়তে হবে।

সারিমুল হক লস্কর বলেন, বাঙালিরা আজ হিন্দু-মুসলিম, ব্যবসায়ী ও কর্মচারী হিসেবে বিভক্ত। তাই মাতৃভাষার গুরুত্ব ও আবেগ খুব কমই গুরুত্ব লাভ করে। তিনিও বৈচিত্র্যের মধ্যে ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন কিন্তু তা আদৌ কখনো ঘটবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কিত।

তার এই বক্তব্যের সমর্থনে প্রমাণ মিলেছে রাজীব ভবনে উপস্থিত জনতার সংখ্যায়। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে এক নাগরিক বৈঠকে রাজীব ভবনের (মাত্র ২০০ ক্ষমতা সম্পন্ন) কনফারেন্স হলটির অনেকটাই ফাকা ছিল।

যাইহোক, মঞ্চ থেকে পাঠানো বার্তা ছিল স্পষ্ট এবং উচচ। সভায় শীঘ্রই একটি স্টিয়ারিং কমিটি গঠন করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ ও সুস্মিতা দেব উভয়েই এই কমিটির প্রতি তাদের সমর্থন নিশ্চিত করেছেন।

Comments are closed.

error: Content is protected !!