মেঘালয় থেকে কাটিগড়া এসে অল্টোতে করে গরু পাচার! জনতার উত্তম-মধ্যম থেকে উদ্ধার করল পুলিশ
গত রাতে কাটিগড়ার চেরাগী বাজার এলাকায় স্থানীয়রা একটি সন্দেহজনক মারুতি সুজুকি অল্টো কার (এমএল 11- 4017) দেখতে পান। ব্যস্ত বাজার এলাকায় কালো চশমা পরে চালক দ্রুত গাড়ি চালাচ্ছিলেন বলেই সন্দেহ করা হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই স্থানীয় কয়েকজন গাড়ি থামিয়ে চালককে গাড়ির জানালা টেনে নামাতে বলেন।
সন্দেহ অমূলক ছিল না, দেখা গেল গাড়িটি বড় বড় গরু দিয়ে বোঝাই ছিল। এরপর স্থানীয়রা গাড়ির চালক ও তার সঙ্গী দুজনকে মারধর শুরু করে। ভিড় জড়ো হওয়ার সাথে সাথে কাটিগড়া এলাকায় গনপ্রহার (মব লিঞ্চিং) এর সম্ভাবনা প্রবল হয়ে উঠে। কিন্তু স্থানীয় কয়েকজন প্রবীণ নাগরিক জনতাকে শান্ত করার দায়িত্ব নেন এবং অবশেষে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদের উদ্ধার করে।
তিন গরু পাচারকারীর নাম তানিও লিও, ফোরচিন লোই এবং জোকব লিও। পুলিশ সূত্র জানিয়েছে যে, প্রাথমিক তদন্তের সময় তাদের মধ্যে তিনজন মেঘালয়ের উমকিয়াং গ্রামের বাসিন্দা বলে দাবি করেছে।
অল্টোতে গরু পাচারের চেষ্টা এই প্রথম নয়। এই মাসের গোড়ার দিকে কালাইনে তিনটি গরু বোঝাই মারুতি সুজুকি অল্টো ML 05 Q 1202 ধরা পড়ে। সেই গাড়িটিও মেঘালয়ের দিকে যাচ্ছিল। সেই ঘটনার সময় চালক এবং এমনকি গতকালকের চালক ও দাবি করেছিলেন যে তারা বৈধভাবে গরু কিনেছেন এবং যাতায়াত খরচ বাঁচাতে একটি অল্টোতে করে নিয়ে যাচ্ছেন।
এখানে উল্লেখ করা দরকার যে আসামের মুখ্যমন্ত্রী ডঃ হিমন্ত বিশ্ব শর্মার সরকার আসাম গবাদি পশু সংরক্ষণ আইনে কিছু সংশোধনী আনার জন্য একটি বিল পেশ করেছে। রাজ্যের শিল্প ও বাণিজ্যমন্ত্রী চন্দ্র মোহন পাটোয়ারি বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনের প্রথম দিনে আসাম গবাদি পশু সংরক্ষণ (সংশোধনী) বিল, ২০২১ পেশ করেছেন।
দ্য প্রিন্টের রিপোর্ট অনুসারে সংশোধনী বিলটিতে এমন একটি ধারা রয়েছে যা রাজ্য জুড়ে গবাদি পশু পরিবহন নিষিদ্ধ করে না।
Comments are closed.