Also read in

শিলচর নারী শিক্ষাশ্রমে জন্ম নেওয়ার পর নবজাতিকাকে পরিত্যাগ করল তাদের বাবা-মা ; ঝাড়ুদারকে টাকা দিল ফেলে দেওয়ার জন্য

শিলচরে এক নবজাতিকাকে বাবা-মা কর্তৃক পরিত্যাগ করার ঘটনায় নিষ্ঠুরতা এক চরম মাত্রায় পৌঁছেছে। স্থানীয়রা এক ব্যক্তিকে সন্দেহজনকভাবে এক নবজাতক শিশুকে নিয়ে হাঁটতে দেখে ঐ ব্যক্তিকে থামিয়ে শিশুটির বিষয়ে জানতে চান।

শিশু-কন্যাটি হলো ধর্মনগর দেনপাড়ার সম্পি দেব ও দিগ্বিজয় দাসের সন্তান। সম্পি দেবকে ৩১শে ডিসেম্বর, ২০২১-এ নারী শিক্ষা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। ২ জানুয়ারী, তিনি একটি কন্যা সন্তানের জন্ম দেন এবং পরবর্তী চিকিৎসার পরে, ৭ জানুয়ারী তাদেরকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়।

স্থানীয়রা শিশুসহ ঐ ব্যক্তিকে থামিয়ে নারিশিক্ষা হাসপাতালে আবার নিয়ে আসলে এই শিশু প্রসবের বিষয়টি নিশ্চিত করেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।

প্রকৃতপক্ষে, কর্তৃপক্ষ আরও নিশ্চিত করেছেন যে, শিশুটির সাথে পাওয়া লোকটি নিজেই হাসপাতালের একজন কর্মচারী।

“তিনি হাসপাতালের আউটডোর বিভাগে ঝাড়ুদারের কাজ করেন। আমরা এখন পর্যন্ত যা জানতে পেরেছি তা হ’ল বাবা-মা ঝাড়ুদারকে নগদ অর্থ দিয়েছেন এবং শিশুটিকে তার হাতে তুলে দিয়েছেন। সে একজন গরিব মানুষ তাই সে এতে প্রলুব্ধ হয়। তবে তিনি শিশুটির সাথে কী করতে যাচ্ছিলেন তা তদন্ত সাপেক্ষে,” হাসপাতালের মুখপাত্র বলেছেন।

প্রাপ্ত তথ্য অনুসারে, বাচ্চাটিকে ফেলে দেওয়ার জন্য ঝাড়ুদারকে একটি ডাবের দামের চেয়ে ও কম পয়সা প্রদান করা হয়েছিল।

মুখপাত্র যোগ করেছেন, “বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়েছে। আমরা অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি, তারা একবার কলের উত্তর দিয়েছে এবং তারপরে তারা আমাদের কল গ্রহণ করা বন্ধ করে দিয়েছে। যেহেতু কন্যা সন্তানটি জন্মগতভাবে শারীরিকভাবে প্রতিবন্ধী, তাই হয়ত বাবা-মা তাকে পরিত্যাগ করেছেন। আমরা শিশুটিকে নিও-নেটাল ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি করেছি।”

Comments are closed.

error: Content is protected !!