Also read in

ঠাকুরির শতরানে সেমিফাইনালে ত্রিবেণী, সুপার ডিভিশনে সুতোয় ঝুলছে ইউনাইটেডের ভাগ্য

না, কোনো হিসেব নিকেশের দরকার পড়ল না। জয় দিয়ে লিগ পর্ব শেষ করেই সুপার ডিভিশনের সেমিফাইনালের টিকিট নিশ্চিত করে নিল ত্রিবেণী ক্লাব। শনিবার এস এম দেব স্টেডিয়ামে তারা ৭২ রানে হারায় দু’বারের ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন ইউনাইটেড ক্লাব কে। এর সুবাদে টাউন ক্লাব ও ইটখোলা এসির পর তৃতীয় দল হিসেবে শেষ চারের টিকিট নিশ্চিত করলো ত্রিবেণী।

উল্টোদিকে, শেষ ম্যাচেও হারের ফলে এবার যোগাযোগ সংঘ ও ইন্ডিয়া ক্লাবের দিকে তাকিয়ে থাকতে হবে ইউনাইটেড ক্লাব কে। রবিবার শেষ লিগ ম্যাচে এই দুটি দল মুখোমুখি হবে। যোগাযোগ জিতলে তারা চতুর্থ দল হিসেবে সেমির টিকেট অর্জন করবে। তবে হেরে গেলে কপাল খুলে যেতে পারে ইউনাইটেডের। মজার বিষয় হচ্ছে, এখন সেমিফাইনালের একটি স্লট এর জন্য লড়াই করছে ইউনাইটেড, যোগাযোগ ও ইন্ডিয়া ক্লাব। আবার এই তিনটি দলই কিন্তু এই মুহূর্তে অবনমন এর আওতায় রয়েছে। অবশ্য নেট রান রেটে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছে ইন্ডিয়া ক্লাব। এছাড়া তারা একটি ম্যাচও এখন পর্যন্ত জিততে পারেনি। তাই কাল জিতলেও বিশাল ব্যবধানে জিততে হবে তাদের।

এবার আসা যাক শনিবারের ম্যাচ প্রসঙ্গে। এদিন সকালে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় ত্রিবেণী। তারা নির্ধারিত ৪০ ওভারে তিন উইকেটে করে ২৫৭। ওপেন করতে নেমে দুরন্ত শতরানের ইনিংস খেলেন রাজ্য দলের বাঁহাতি তারকা অভিষেক ঠাকুরি। তিনি ১২৩ বলে করেন ১১২। তার ইনিংসটি সাজান ছিল ১১টি চার ও দুটি ৬-র মার দিয়ে। এছাড়া অর্ধশতরান করেন শুভম মণ্ডল ৭৭। কৃশানু দত্ত ২৩ ও অমিত যাদব ২৪ রান করেন।

জবাবে ৯ উইকেটে ১৮৫ রানে আটকে যায় ইউনাইটেড। ইনিংসের শুরুতে তারা হারায় ডানহাতি ওপেনার সুকান্ত দে কে। রনজি তারকা প্রীতম দাসের কাছে হার মানেন তিনি। ওয়াসির আহমেদ ৩৮, অম্বর ভট্টাচার্য ২২ ও অধিনায়ক মোশারব হোসেন লস্কর ২১ রান করেন। একটা সময় মনে হয়েছিল দেড়শোর গণ্ডি টপকাতে পারবে না তারা। ১৩৮ রানে আট উইকেট চলে গিয়েছিল তাদের। তবে লোয়ার অর্ডারে ২৫ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক স্কোরে নিয়ে যান দিবাকর জহরি। দুটি করে উইকেট নেন অঙ্কিত অগরওয়াল ও পরীক্ষিত বণিক। দুরন্ত শতরানের জন্য ম্যাচের সেরা নির্বাচিত হন ঠাকুরি। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন কল্যাণ চক্রবর্তী ও দেবব্রত দত্ত।

Comments are closed.