
আগামী ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের ২৯-তম দ্বি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় অধিবেশন
আগামী ১১, ১২ ও ১৩ মার্চ বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের ২৯-তম দ্বি-বার্ষিক কেন্দ্রীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হবে৷
গত রবিবার অধিবেশনের অভ্যর্থনা সমিতির এক সভায় এই সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত হয়৷ তাতে পৌরোহিত্য করেন অভ্যর্থনা সমিতি ও কাছাড় জেলা সমিতির সভাপতি তৈমুর রাজা চৌধুরী৷ কোভিড বিধি কিছুটা শিথিল হতেই সংগঠনের সকল স্তরের কর্মকর্তাই অধিবেশন আয়োজনের জন্য উৎসাহী হয়ে উঠেছেন৷ সর্বসম্মতিক্রমে ১১, ১২ ও ১৩ মার্চের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়৷ বিভিন্ন উপসমিতির সভাপতি-আহ্বায়করাও সভায় উপস্থিত ছিলেন৷ তাঁরা নিজেদের কাজকর্মের অগ্রগতি এবং প্রস্তুতি বিষয়ে সভাকে অবগত করান।
অর্থ উপ-সমিতির সভাপতি নীলাভ মজুমদার মৃদুল এবং অভ্যর্থনা সমিতির কোষাধ্যক্ষ বিশ্বনাথ ভট্টাচার্য পদাধিকারী এবং সদস্য চাঁদার ওপর গুরুত্ব দেন৷ অনুরোধ জানান, ২০, ৫০ ও ১০০ টাকার কুপন ছাপা হয়েছে৷ সদস্যরা যেন বঙ্গভবন থেকে কুপন-বই সংগ্রহ করে সাধারণের মধ্যে ছড়িয়ে দেন৷
অভ্যর্থনা সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. জয়ন্ত দেবরায় জানান, জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের জন্য সবাই প্রস্তুতি নিচ্ছেন৷ অধিবেশনের উদ্বোধক সহ বিভিন্ন কর্মসূচির অতিথিদের প্যানেল তৈরি করা হয়েছে৷ তাঁদের সঙ্গে সভা থেকেই যোগাযোগ শুরু হয়ে গিয়েছে৷ এ উপলক্ষে স্মরণিকা তৈরি হচ্ছে৷ অধিবেশন চলাকালে প্রকাশিত হবে তিনদিনের তিন বুলেটিন৷ হবে আলোচনাসভা, কবি সম্মেলন, অনুগল্প পাঠের আসর, শিশুমেলা৷ প্রতিদিন মুক্তমঞ্চে থাকবে সঙ্গীত-নৃত্যের অনুষ্ঠান, লোকগীতির আসর৷ চলবে বইমেলা সহ রকমারি কর্মসূচি৷
প্রতিনিধি সভা ছাড়া সমস্ত কর্মসূচিতে সকলের প্রবেশ অবাধ বলে ড. দেবরায় জানিয়েছেন৷ তিনি বলেন, প্রতিনিধি সভায় বিগত দিনের কাজকর্মের ওপর আলোচনা হবে এবং পরে আগামী দুই বছরের জন্য বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সমিতি পুনর্গঠিত হবে৷
প্রসঙ্গত, আগে এই অধিবেশন ১১, ১২ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল৷ কিন্তু কোভিড সংক্রমণ বেড়ে চলার দরুন তা স্থগিত রাখতে হয়েছিল৷
Comments are closed.