Also read in

শিলচরের কাছাড় কলেজের সজলেন্দু দাস লস্কর এপিএসসি'র নতুন সদস‍্য

 

আসাম সরকার আজ আসাম লোকসভা আয়োগের চারজন নতুন সদস্যকে নিয়োগ করেছে। এই চারজন সদস্যের মধ্যে আছেন শিলচরের শ্রী সজলেন্দু দাস লস্কর ও। শ্রী দাসলস্কর শিলচর কাছাড় কলেজের গণিত ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং বিভাগীয় প্রধান।

সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত অন্যান্য সদস্যরা হলেন শ্রী মুক্তি গগৈ (আইএএস), শ্রী প্রফুল্ল কুমার হাজাওয়ারি (এস সি এস), ডঃ অজন্তা নাথ (এইচওডি, ত্যাগবীর হেম বরুয়া কলেজ, কোর্সেংটোলা)। ডঃ কে কে দ্বিবেদী (আইএএস কমিশনার ও সেক্রেটারি, অসম সরকার) এই নির্দেশ জারি করেন রাজ্যপালের হয়ে।

বরাক বুলেটিন ডট কমের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে সজলেন্দু দাস লস্কর দৃঢ়ভাবে ব্যক্ত করেন যে কোনো ধরনের নিয়মবহির্ভূত সুবিধে নিয়ে ‘জিরো টলারেন্স’ থাকবে। রাজ্যের প্রতিটি যুবকের সমান সুযোগ পাওয়া উচিত এবং কোন ধরনের গোপনীয় পদ্ধতি অবলম্বন করা উচিত নয়। “যদিও কমিশন সম্পর্কে আমার খুব কম ধারণা আছে, তবুও আমাদের প্রথম অগ্রাধিকার হবে এই কমিশনের হৃত সন্মান ফিরিয়ে আনা।”

তার অনুভূতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি আবেগিক হয়ে বলেন “আমি অত্যন্ত আনন্দিত – my mind is blowing”। ছাত্রজীবন সম্পর্কে তিনি আমাদের জানান যে তিনি প্রথম ৮৫২ নং , শিরীষতোলা নিম্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হন। শৈশবের দিনগুলি স্মরণ করে তিনি জানান যে তার লক্ষ্য ছিল তার সেই স্কুলের শিক্ষক সোনামনী নাথের মতোই একজন এল.পি. স্কুলের শিক্ষক হওয়ার। সেখান থেকে তিনি বলেশ্বর এম ই স্কুল, তারপর বলেশ্বর হাই স্কুল, জি সি কলেজ হয়ে গৌহাটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রী অর্জন করেন। মাস্টার ডিগ্রি করার পরও তিনি শিক্ষকতার প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন। সেইজন্য তিনি কাস্টমস ইন্সপেক্টরের স্থায়ী চাকরি পর্যন্ত ছেড়ে দেন এবং শিক্ষক হিসেবে যোগদান করেন মাত্র ৬০০ টাকা বেতনে।
সবশেষে তিনি ঈশ্বরের কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এত কিছু দেওয়ার জন্য। “আমার আর কিছু পাওয়ার নেই, আমি আজ যা হতে পেরেছি সব ঠাকুর রামকৃষ্ণের কৃপায় হয়েছে।”

আমরা বরাক বুলেটিন ডট কমের পক্ষ থেকে উনাকে এই বিশেষ সাফল্যের জন্য অভিনন্দন জানাই।

Comments are closed.