Also read in

ভুঁয়া ডাক্তার, ভুঁয়া পুলিশের পর এবার গরু পাচারকারী; আবার গ্রেপ্তার হলো সামিদ হোসেন

মুন্নাভাই এমবিবিএস এবং ভুয়া পুলিশ অফিসার সাজার পর গুমড়ার সামিদ হুসেন আবার খবরে। অন্য এক অপরাধে গতকাল রাতে আবার পুলিশের জিম্মায় সে।

ভুঁয়া পুলিশ অফিসার হিসেবে মানুষকে প্রতারণার দায়ে গতবার জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে  সে গরু চোরাচালান চক্রের সাথে জড়িয়ে পড়ে এবং গোপনে মেঘালয় ও বাংলাদেশে গরু পাচার শুরু করে। বিক্রেতাদের বক্তব্যের ভিত্তিতে কাছাড় পুলিশের দিগরখাল চেকপোস্ট তাকে গ্রেফতার করেছে।

সামিদ হুসেন এখন তার গ্রাম গুমড়ায় একজন কুখ্যাত ব্যক্তিত্ব। এর আগে সে নিজেকে একজন এমবিবিএস ডাক্তার দাবি করে রোগীদের চিকিৎসা করতে গেলে তাকে গ্রেফতার করা হয়। ধরা পড়ার পর, সে তার ডাক্তারের সাদা কোটটিকে পুলিশের পোশাকে পরিবর্তিত করে এবং ব্ল্যাকমেল এবং অন্যান্য কাজের লোকদের কাছে টাকা চাইতে শুরু করে। পরে পুলিশের একটি দল গত বছরের ডিসেম্বর মাসের শেষ দিকে তার বিরুদ্ধে যথেষ্ট প্রমাণসহ তাকে গ্রেফতার করে।

কারাগার থেকে জামিন পাওয়ার পর সে আরেকটি “ব্যবসা” শুরু করে। এবার অর্থ উপার্জনের আরেকটি অবৈধ উপায় অবলম্বন করল সে । কাছাড় থেকে মেঘালয় এমনকি বাংলাদেশেও অবৈধভাবে গরু পাচার শুরু করে। বেশ কিছুদিন এভাবে চললেও পুলিশ তাকে গ্রেফতার করতে পারেনি। গত সন্ধ্যায় টহলদারির সময় , দিগরখাল পুলিশ একটি চার চাকার অল্টো গাড়ি আটক করে এবং পিছনের সিটে গরু ও বাছুর দেখতে পায়; পুলিশকে দেখে চালক পালিয়ে যায়।

কিন্তু অন্য একটি গাড়ি থেকে পুলিশ গরু পাচার চক্রের সঙ্গে জড়িত চার ব্যবসায়ীকে ধরতে সফল হয়। পুলিশ মেঘালয় থেকে আসা তিন ব্যবসায়ীকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পরে, তারা স্বীকার করেছে যে সামিদ তাদের নেতৃত্বে ছিল এবং সে তাদের ‘বস’। তাদের বক্তব্যের ভিত্তিতে গতকাল রাতে তাকে আটক করে পুলিশ। অল্টোতে মোট ছয়টি গরু ও বাছুর পাওয়া গিয়েছিল যেগুলো সামিদ তার লোকদের সহায়তায় মেঘালয়ে পাচারের চেষ্টা করছিল। এক জনপ্রিয় প্রতারক আবারও পুলিশের হাতে ফিরে এসেছে, তবে আবারো জামিনে এসে সে কি রূপ ধরে সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Comments are closed.