
মামলার শুনানিতে এসে আদালত চত্বরে স্বামী এবং স্ত্রীর পরিবারের মধ্যে হাতাহাতি, রণক্ষেত্র আদালত প্রাঙ্গণ
কোর্ট কম্পাউন্ডের ভিতরে ডিস্ট্রিক্ট লেভেল কমিটি ফর ক্রাইমস ইনভলভিং উইমেন (ডিএলসিসিআইডব্লিউ)য়ে শুনানির পর, দুই পক্ষের মধ্যে ভয়ানক ঝগড়া এমনকি পাথর ছুঁড়াছুড়ি শুরু হয়। গীতা নুনিয়া ও তার স্বামী শঙ্কর নুনিয়ার মধ্যে দাম্পত্য সমস্যার সমাধান করতে দুই পক্ষকে শুনানিতে ডাকা হয় । ঘটনাটি ঘটেছে ১৬ ডিসেম্বর বিকেলে শিলচরে জেলা দায়রা আদালতের চত্বরে।
শুনানির পর গীতা নুনিয়ার পরিবার ও শ্বশুরবাড়ির লোকজন একে অপরকে আক্রমণ করতে শুরু করে।।এই লড়াইয়ে গীতা নুনিয়া ও তার ভগ্নিপতি কুন্টু নুনিয়া গুরুতর আহত হন।
দুই বছর আগে কাছাড়ের দুধপাতিল গ্রামের বাসিন্দা গীতা নুনিয়ার বিয়ে হয় কাশীপুরের শঙ্কর নুনিয়ার সঙ্গে । গীতার বাবা জানান যে, তাদের বিয়ের কয়েকদিন পর শ্বশুরবাড়ির লোকজন নির্যাতন শুরু করে এবং পরে তাদের মধ্যে সামাজিক বোঝাপড়া হয়। এই বোঝাপড়া অনুযায়ী শঙ্কর নুনিয়া তার স্ত্রী গীতার নির্যাতনকারীদের কাছ থেকে দূরে থাকতে লক্ষীপুরে একটি ভাড়া বাড়িতে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়।
কয়েক মাস শান্তিতে থাকার পর শঙ্কর নুনিয়াও গীতার ওপর অত্যাচার শুরু করে এবং তার বাবা তাকে দুধপাতিলে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান।
গীতার বাবা, রাজেন নুনিয়া পরে গীতার স্বামীর বিরুদ্ধে অভিযোগ জানাতে নারীদের জড়িত অপরাধের জন্য জেলা স্তরের কমিটিতে যান। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে উভয় পরিবারকে আদালত কম্পাউন্ডের অভ্যন্তরে অফিসে তাদের বক্তব্য শোনার জন্য কমিটি ডেকে পাঠায়।
শুনানির পর তারা অফিস থেকে বের হলে শঙ্কর গীতার ওপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সে আক্রমনাত্মকভাবে তার চুল টেনে ধরে এবং তার মাথায় পাথর দিয়ে আঘাত করে, যার ফলে তার মাথায় গুরুতর ক্ষত হয়।
অন্যদিকে, শঙ্করের পরিবারের অভিযোগ, গীতার পরিবার প্রথমে তাদের ওপর হামলা চালায়। গীতা ও তার পরিবার তাদের ঘুষি মারতে শুরু করে বলে অভিযোগ। হামলায় শংকরের বোন কুন্তি নুনিয়া মারধরের পর গুরুতর আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, একসময় দুই পক্ষের মারামারিতে আদালত চত্বরে রণক্ষেত্রের মতো পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গালাগালি, মারধর, ঘুষি, কিছুই বাদ যায়নি।
পরিস্থিতি বেগতিক দেখে লোকজন সেখানে জড়ো হয়ে উভয় পক্ষকে বাধা দেয়। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থেকে সদর থানায় এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
Comments are closed.