Also read in

প্রাক্তন সাংসদ, বিশিষ্ট কংগ্রেস নেতা কর্নেন্দু ভট্টাচার্য পরলোকে

চলে গেলেন দুবারের সাংসদ বর্ষিয়ান কংগ্রেস নেতা কর্নেন্দু ভট্টাচার্য। আজ সকাল ৯ টা ৪৫ মিনিটে তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। তাকে প্রায় ১০ দিন ধরে নয়ডার নিও ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভেন্টিলেশনে রাখা হয়েছিল। মৃত্যু কালে তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

কর্ণেন্দু ভট্টাচার্য আসাম থেকে রাজ্যসভায় দুবার সাংসদ হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন ; ১৯৯৬ থেকে ২০০৮ সন পর্যন্ত তিনি রাজ্যসভায় আসামের প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। তিনি ১৯৮৫ থেকে ১৯৯১ পর্যন্ত শিলচর কেন্দ্র থেকে আসাম বিধানসভার সদস্য ছিলেন।

প্রায় ২৭ বছর তিনি ছিলেন জেলা কংগ্রেস সভাপতি। রাজ্যসভা ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, কর্ণেন্দু ভট্টাচার্যের জন্ম ২রা মে, ১৯৩৮। রাজনীতিতে সক্রিয় থাকার পাশাপাশি, তিনি রেডক্রস সোসাইটি, শিলচর ব্যায়াম বিদ্যালয সহ শিলচরের বিভিন্ন সামাজিক ও কল্যাণমূলক আন্দোলনের একজন পুরোধা ছিলেন। তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে বিভিন্ন কমিটিরও অংশ ছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে রেলের কমিটি, নগর ও গ্রামীণ উন্নয়ন কমিটি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের পরামর্শদাতা কমিটি।

অন্যান্য দলের রাজনীতিবিদরাও সময়ে সময়ে তার পরামর্শ গ্রহণ করতেন । তিনি ক্ষমতায় আসার পর ভারতীয় জনতা পার্টির ইতিবাচক কাজের প্রশংসা করতে কখনও পিছপা হননি, বিশেষ করে যখন মোদী সরকারের আমলে দক্ষিণ আসামে ব্রডগেজ লাইন চালু করা হয়েছিল।

তার মৃত্যুতে দুঃখ প্রকাশ করে আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্ব শর্মা টুইট করেছেন
“প্রবীণ কংগ্রেস নেতা, শিলচরের প্রাক্তন সাংসদ ও বিধায়ক কর্নেন্দু ভট্টাচার্য্যের মৃত্যুতে শোকাহত। আসামের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে।

আমি তার সাথে আমার যখন সাক্ষাতের স্মরণ করি। শোকাহতদের প্রতি আমার গভীর সমবেদনা। ওম শান্তি!”

দুই কন্যা এবং স্ত্রী নন্দিনী ভট্টাচার্যকে রেখে গেছেন তিনি। বর্ষিয়ান এই কংগ্রেস নেতার মৃত্যুতে উপত্যকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

 

 

Comments are closed.