Also read in

মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় রংপুরের এক যুবক ও কাছাড় কলেজ ছাত্রীর মৃত্যু

গত সাত দিনে, মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় তিন জোড়া যুবক যুবতীর মারা যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এই মকর সংক্রান্তির উৎসবে এতগুলি মৃত্যুর ঘটনা ঘটছিল। তাই এখানে যে প্রশ্নটি উঠছে তা হল, নতুন বছরের প্রাক্কালে সমস্ত সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে ছিল দুর্ঘটনা রোধে পুলিশের প্রস্তুতির খবর। মিনিটে মিনিটে ট্রাফিক আইন প্রয়োগের বিবরণ প্রকাশ করছিল তারা। কিন্তু এক পক্ষকাল পরেই এতসব ঘটনা ঘটে চলেছে!

গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে মৃত্যু হল আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রের। এরপরই আসে উধারবন্দ-সংলগ্ন চণ্ডীঘাট থেকে মর্মান্তিক খবর।

কাছাড় কলেজের ছাত্রী মনিদীপা নাথ তার বন্ধু রংপুরের বাসিন্দা রুবেল দাসকে নিয়ে যাচ্ছিলেন এবং তাদের দ্রুতগামী মোটরসাইকেলটি একটি গাছের সঙ্গে ধাক্কা মারে। ধাক্কাটা এমন ছিল যে দুজনেই কয়েক মিটার দূরে চায়ের গাছের মাঝে ছিটকে পড়েন। প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, তারা মধুরা কোয়ারিতে পিকনিক থেকে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনাটি ঘটে।

স্থানীয়রা জড়ো হয়ে তাদের স্ট্রেচার করে উধারবন্দ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে মনে করেন।

এরপর দুজনকেই শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণের মধ্যেই রুবেল দাসকে মৃত ঘোষণা করা হয়। বিএ প্রথম বর্ষের ছাত্রী মনিদীপা নাথ দুই দিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যান এবং শেষ পর্যন্ত রবিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন।

সড়ক দুর্ঘটনার কারণে জেলার আরও দুই তরুণ বাসিন্দার মৃত্যু ট্রাফিক আইন প্রয়োগের ফাঁকফোকর প্রকাশ করে। বিশেষ করে মহাসড়ক এবং উধারবন্দ অঞ্চলে বাইকাররা তাদের মোটরসাইকেল নিয়ে স্টান্ট এখনোও করছেন।

Comments are closed.