গোলদিঘির শপিংমলে দিন-দুপুরে শ্যালিকার উপর প্রাণঘাতী হামলা : গ্রেফতার দুলাভাই
এক দুঃসাহসিক ঘটনায় বৃহস্পতিবার বেলা ১১ টা নাগাদ শহরের শপিংমলে শ্যালিকার উপর প্রাণঘাতী হামলা চালালো ভগ্নিপতি । বর্তমানে শ্যালিকা শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
ঘটনার বিবরণে প্রকাশ বৃহস্পতিবার সকালে শিলচরের গোলদিঘির মলের ত্রিতলে অবস্থিত সানভি বুটিক নামে একটি কাপড়ের দোকানে হাজির হয় হামলাকারী ব্যক্তি ইসলাম উদ্দিন। সে তার শ্যালিকা হুসনা বেগম লস্করকে সঙ্গে নিয়ে যেতে চাপ সৃষ্টি করে, কিন্তু হুসনা এতে রাজি না হওয়ায় দুজনের মধ্যে প্রচণ্ড তর্ক-বিতর্ক হয়। হঠাৎ করে ইসলাম উদ্দিন দোকান থেকে কাঁচি নিয়ে হুসনা বেগমের পেটে এবং পায়ে আঘাত করে। সঙ্গে সঙ্গে রক্তাক্ত অবস্থায় দোকানের মধ্যে লুটিয়ে পড়ে হুসনা বেগম। চিৎকার চেঁচামেচি শুনে আশপাশ থেকে লোকেরা ছুটে এসে এই হামলাকারী ব্যক্তিকে পাকড়াও করে উত্তম-মধ্যম দেয়। ইতিমধ্যে ১০৮ অ্যাম্বুলেন্স ডেকে হুসনা বেগমকে শিলচর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তার অবস্থা স্থিতিশীল বলে জানা গেছে। শপিংমলের দোতলা থেকে লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ইসলাম উদ্দিনকে জনগণ ধরে ফেলে এবং পুলিশের হাতে সমঝে দেয়।
ওই দোকানের মালিক হলেন খুশবু যাদব শেঠ, ঐ সময় তিনি দোকানে ছিলেন না । দোকানে তখন অন্য এক মহিলা কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন । ইসলাম উদ্দিন মালুগ্রামের ধনিয়ালা অঞ্চলের বাসিন্দা। ওইখানে ওর একটা দর্জির দোকান আছে। শ্যালিকা হুসনা বেগম ওই দোকানে আগে কাজ করত, তারপর গোল দিঘি মলের এই বুটিকে প্রায় এক সপ্তাহ ধরে কাজ করছে।
হুসনা বেগমের মুল বাড়ি শ্রীকোনা অঞ্চলে কিন্তু এখানে শহর সংলগ্ন চামড়াগুদামে ভাড়া বাড়িতে বসবাস করে। এই ঘটনার পেছনে সঠিক কারণ এখনো জানা যায়নি তবে এতে ইসলাম উদ্দিনের কোনো অসৎ উদ্দেশ্য থাকতে পারে বলে অনুমান করা হচ্ছে। প্রাথমিক বয়ানে ইসলাম উদ্দিন জানিয়েছে যে হুসনা বেগম তার দর্জির দোকানের কাজ ছেড়ে দেওয়ায় সে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছিল; তাই তাকে দোকানের কাজে ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অনুরোধ করতেই সে এসেছিল। এদিনের ঘটনা নিয়ে সানভি বুটিক কর্তৃপক্ষ ইসলামকে অভিযুক্ত করে সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছে।
Comments are closed.