
বরাক উপত্যকার প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক এবং সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে বৈঠক করল এপিসিসি
অসম প্রদেশ কংগ্রেস (এপিসিসি) সভাপতি ভূপেন বরা বুধবার শিলচর সার্কিট হাউসে সম্পাদকদের পাশাপাশি প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সিনিয়র সাংবাদিকদের সাথে একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে সাংবাদিকদের নানা ধরনের প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্বকে।
সুস্মিতা দেবের দল ছাড়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভূপেন বরা বলেন যে সুস্মিতা আবার দলে যোগ দিতে চাইলে তাকে কংগ্রেসের প্রাথমিক সদস্যপদ গ্রহণ করতে হবে। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের জন্য দলীয় প্রার্থীদের নাম কেন এত তাড়াতাড়ি ঘোষণা করা হল, এই প্রশ্নের কোনও সুনির্দিষ্ট উত্তর দিতে পারেননি তিনি। বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন উত্তর করিমগঞ্জের বিধায়ক কমলাক্ষ দে পুরকায়স্থ, বরাকের কংগ্রেস ইনচার্জ অপূর্ব ভট্টাচার্য প্রমুখ। ‘হাত সে হাত জোড়ো’ যাত্রা সফল করতে শহরের বিভিন্ন দোকানে লিফলেট বিতরণ করেন বরা।
বৈঠকে সাংবাদিকদের উদ্দেশে এপিসিসি সভাপতি বরা বলেন, “আমরা বরাক উপত্যকার প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকদের তাদের পরামর্শ দিতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলাম। বৈঠকে বাংলা পত্রিকার সম্পাদক ও সিনিয়র সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আমরা তাদের কাছ থেকে পরামর্শ নিতে চেয়েছিলাম। হাত সে হাত জোড়ো যাত্রা, রাজ্যের বিরোধী দল হিসেবে আমাদের নৈতিক বাধ্যবাধকতা এবং আমরা যদি সেই দায়িত্ব পালন করি বা করতে ব্যর্থ হই, বরাক উপত্যকার মানুষের চেতনা এবং তারা যে দায়িত্ব পালন করতে চায় তা জানাতে পেরে আমি আনন্দিত। বরাক উপত্যকার সমস্ত সিনিয়র সাংবাদিকরা আমাদের পরামর্শ দিয়েছেন, আমাদের সমালোচনা করেছেন এবং আমাদের প্রশংসা করেছেন। আমি বিশ্বাস করি আজকের বৈঠক থেকে আসাম প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি অনেক কিছু লাভ করেছে।”
বাজেট সম্পর্কে বলতে গিয়ে বরা বলেন, “গত বছরও সরকার বাজেট থেকে বরাদ্দকৃত তহবিলের সিংহভাগ খরচ করতে পারেনি। এই বাজেটে সরকার কৃষি খাতে, এমজিএনরেগা, স্বাস্থ্য খাতে, শিক্ষা খাতে তহবিল বরাদ্দের কথা বলেছে। জনগণকে খুশি করা হয়েছে কিন্তু বাজেটে এত টাকা বরাদ্দ করা হয়নি। যে সরকার বাজেটে বরাদ্দকৃত তহবিল ব্যয় করতে পারে না সে সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্খা পূরণে ব্যর্থ হয়ে নির্বাচনী জনপ্রিয়তা এবং সংবাদপত্রের শিরোনামে চলে। “
Comments are closed.