Also read in

এম পি কাপ ফুটবলে চ্যাম্পিয়ন রংমাই এফসি, রানার আপ ইউনাইটেড ব্রাদার্স

 এম পি কাপ রুরাল আরবান নক আউট ফুটবলের দ্বিতীয় সংস্করণে চ্যাম্পিয়ন হলো শিলচর রংমাই এফসি। আজ সতীন্দ্র মোহন দেব স্টেডিয়ামে প্রতিযোগিতার ফাইনালে রংমাই এফসি ১-০ গোলে হারায় পয়লাপুলের ইউনাইটেড ব্রাদার্স এফসি কে। ফ্লাড লাইটের আলোয় অনুষ্ঠিত ফাইনালের একমাত্র গোলটি করেন গাইহাম রংমাই। ২৩ মিনিটে।

টানটান উত্তেজনাপূর্ণা ফাইনালে লড়াই হয়েছে সেয়ানে সেয়ানে। তবে কম্প্যাক্ট ফুটবল দিয়ে বাজিমাত করে রংমাই এফসি। যদিও খুব একটা পিছিয়ে ছিলনা ইউনাইটেড ব্রাদার্স। বরং দ্বিতীয়ার্ধে একচেটিয়া আধিপত্য দেখিয়েছে দলটা। কিন্তু ফিনিশিং ব্যর্থতায় রানারআপ থেকেই সন্তুষ্ট থাকতে হলো পয়লাপুলের ক্লাবকে।
ফাইনালের শুরুটা কিন্তু ভালোই করেছিল ইউনাইটেড ব্রাদার্স। শুরু থেকেই লেফট উইং দিয়ে আক্রমণে যায় তারা। তবে বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ গড়ে তুললেও ফাইনাল টাচে মার খায়।দলটার মাঝ মাঠের সঙ্গে ফরওয়ার্ড লাইনের বোঝাপড়ায় সমস্যা হচ্ছিল। যা কিছুটা আশ্চর্যের বটে। কারণ ইউনাইটেড ব্রাদার্স গোটা টুর্নামেন্টে ভালো খেলেছে। তবে এদিন ফাইনালে নিজেদের স্বাভাবিক ফুটবল খেলতে পারেনি।

উল্টোদিকে ছোট ছোট পাসে দারুন বিলড আপ খেলছিল রংমাই। দুই উইং করে গড়ে তুলছিল একাধিক আক্রমণ। মাঝ মাঠে থানজিক রংমাই অফ ফর্মে থাকলেও জিয়ানচুন রংমাই ও অ্যাপেলো রংমাইরা সেটা ভালোভাবে পুষিয়ে দেন। তাদের মাঝমাঠকে অনেকটাই কম্প্যাক্ট লাগছিল। আক্রমণ ভাগের সঙ্গে মাঝমাঠের চমৎকার বোঝাপড়া ছিল রংমাই দলে। দুরন্ত ফর্মে থাকা রংমাই দলের তারকা স্ট্রাইকার গাইহাম রংমাই ফাইনালেও দারুন ছন্দে ছিলেন। ২৩ মিনিটে অ্যাপেলো রংমাই এর ক্রস থেকে বাঁ পায়ে দুরন্ত ফিনিশিংয়ে গোল করেন তিনি।
টুর্নামেন্টে গাইহামের মোট গোল সংখ্যা ৯। ফাইনাল রাউন্ডের সেমিফাইনালে গাইহামের জোড়া গোলেই নাগাখাল এফ সিকে হারিয়েছিল রংমাই এফ সি। ফাইনালেও কাজ করেছে গাইহাম ফ্যাক্টর। যদিও দ্বিতীয়ার্ধে কিছু করার খুব কমই সুযোগ পেয়েছেন তিনি। আসলে দ্বিতীয়ার্ধে তুলনায় অনেক ভালো খেলেছে ইউনাইটেড ব্রাদার্স। তবে আসল সমস্যাটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি। বেশ কয়েকটি ভালো আক্রমণ গড়ে তুললেও ফিনিশিংটা মোটেও ভালো করতে পারছিল না।

দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম মিনিট থেকেই রক্ষণাত্মক খোলসে ঢুকে পড়ে রংমাই এফ সি। এরই ফায়দা তুলে লড়াইয়ে ফিরে আসে ইউনাইটেড ব্রাদার্স। তারা একের পর এক আক্রমন চালায় বিপক্ষের রক্ষণে। এতে কিছুটা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ে রংমাইয়ের ডিফেন্স লাইন। ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিতে কিছুটা রাফ খেলতে শুরু করে রংমাই। এরই খেসারত দেন দলের ডিফেন্ডার নান্টু দাশ। ম্যাচের দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মার্চিং অর্ডার পান তিনি। ফলে দশজনে নেমে আসে রংমাই এফ সি। ম্যাচের বয়স তখন ৬৯ মিনিট। এর দুমিনিট পরই দারুন একটা সুযোগ হাতছাড়া করেন ইউনাইটেড ব্রাদার্স এর ইসাক। ৭৩ মিনিটে সমতায় ফেরার আরো একটি দারুন সুযোগ পায় পয়লাপুলের ক্লাবটি। তবে এবার ও গোল করতে ব্যর্থ হন ইসাক।

টানা ডিফেন্ড করতে থাকা রংমাই কাউন্টার অ্যাটাকে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগ পায়। তবে গাইহাম রংমাই সেটা কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন। দ্বিতীয়ার্ধে এই একটাই সুযোগ তৈরি করতে পেরেছিল রংমাই এফসি। যদিও সেই সুযোগটা হাতছাড়া করলেও সেটা কোনো ফ্যাক্টর হয়নি। অবশেষে গাইহামের করা গোলটাই নির্ণায়ক হয়ে দাঁড়ায়।
চ্যাম্পিয়ন হওয়ার সুবাদে ট্রফি সহ ৩০,০০০ টাকা পায় রংমাই এফসি। রানার আপ ইউনাইটেড ব্রাদার্স ট্রফি সহ পায় কুড়ি হাজার টাকা। ফাইনালের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন রংমাই দলের গাইহাম রংমাই।

Comments are closed.