Also read in

প্যানেল তৈরি করেই দলগত প্রচারে বাবুল-অতনুরা কোষাধ্যক্ষ পদে দুই নিকটআত্মীয় নির্বাচনে?

শাসক গোষ্ঠীর পর এবার প্যানেল তৈরি করল টিম বাবুল-অতনু লবি। অবশ্য শাসক দলের প্যানেল তৈরি এবং পরবর্তীতে ২৬ প্রার্থীর দলগত প্রচার শুরু হতেই প্যানেল তৈরির কাজে হাত দিয়েছে এই লবি। আজ বিকেল পর্যন্ত প্রায় নব্বই শতাংশ কাজ সম্পন্ন করা গেছে। তবে পূর্ণাঙ্গ রূপ পায়নি। কারণ, সহ সভাপতি (আদার্স ) পদে প্রার্থী এখন পর্যন্ত দিতে পারেনি।

এর আগে একসঙ্গে প্রচার না করলেও কিন্তু ব্যক্তিগতভাবে বিরোধী শিবিরের প্রত্যেকেই টানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। ‌ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত চষে বেড়াচ্ছেন প্রত্যেকটি ক্লাব ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। সূত্রমতে জানা গেছে, বুধবার রাতে এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন বিরোধী শিবিরের পদপ্রার্থীরাও। এই বৈঠকে নিজেদের একটি প্যানেল তৈরি করেন তারা। শাসকগোষ্ঠীর কার বিরুদ্ধে কিভাবে ভোটে লড়াই করতে হবে, সে নিয়ে পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা হয়েছে। শাসকগোষ্ঠীকে কড়া টক্কর দেওয়ার জন্যই একজোট হয়ে লড়াই করতে চাইছে বিরোধী শিবির। প্রতিপক্ষ শিবিরের কেউ যাতে সহজেই উতরে না যায়, তার জন্যই নিজেরাও একটা প্যানেল তৈরি করে নিয়েছে বিরোধী শিবির। গত একমাস থেকেই বিরোধী শিবিরের পদপ্রার্থীরা ব্যক্তিগতভাবে টানা প্রচার চালিয়ে আসছেন। তবে এবার স্লগ ওভারে একজোট হয়ে লড়াই করতে চাইছেন তারা।
লক্ষ্যণীয় বিষয় হল কোষাধ্যক্ষ পদে এবার দুই নিকট আত্মীয় নির্বাচনে মুখোমুখি। প্যানেলে এই পদে জ্যেতিষ্মান ভট্রাচায রয়েছেন। শাসক প্যানেলে রয়েছেন বুদ্ধদেব চৌধুরী। উভয়ে নিকট আত্মীয় বলে জানা গেছে। ফলে এই পদের নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ দানা বাঁধতে শুরু করেছে। শেষ পর্যন্ত এই পদে ওয়াক ওভারের ঘটনা ঘটলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না।
পাশাপাশি কয়েকটি পদে দুটি প্যানেলে “কমন” প্রার্থী রয়েছেন। এঁরা হলেন সহ- সভাপতি নন্দদুলাল রায়, আশুতোষ রায়, ফুটবল সচিব বিকাশ দাস, আম্পায়ার সচিব হিমাদ্রী শেখর দাস, গ্রাউন্ড সচিব কৌশিক রায়। ফলে আসন্ন কার্যকালে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হতে পারেন এই সব প্রার্থীরা। তবে এটা এই মুহূর্তে নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। কারণ, নতুন কমিটি গঠন প্রক্রিয়ার মুহূর্তেও যে কোনও সদস্য নিজের প্রার্থীত্ব ঘোষণা দিতে পারেন। এই নিয়ম রয়েছে শিলচর ডি এস এতে। বিপরীতে ভাঙ্গা গড়ার খেলা তো চলছেই।
আজ দুপুরে অবশ্য দলগত প্রচারে যান টিম বাবুল-অতনু। তবে তাদের দলটি পরিসরে ছোট ছিল। শুধুমাত্র ইউনাইটেড ক্লাবে প্রচার সেরে ফিরে আসে দলটি। সেই সময় ক্লাবের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন সব কর্মকর্তাই।
প্রস্তাবিত প্যানেল- সভাপতি- বাবুল হোড়, সহ সভাপতি(প্রশাসন) বাসুদেব শর্মা, (মেজর) সূজয় দত্তরায়, (স্টেডিয়াম) সুজন দত্ত, (রেফারি) নন্দদুলাল রায়, (সুইমিং )আশুতোষ রায়, (সাংস্কৃতিক) নিখিল পাল। আদার্স পদে কেউ নেই।
সচিব অতনু ভট্টাচার্য। সহ সচিব (প্রশাসন) যাদব পাল, (মেজর) নিলয় পাল, (আদার্স) পৃথ্বিশ পাল। কোষাধ্যক্ষ জ্যোতিষ্মান ভট্টাচার্য। শাখা সচিব ক্রিকেট নীহারেন্দু দেব, ফুটবল বিকাশ দাস, রেফারি তপন দাস, আম্পায়ার হিমাদ্রী শেখর দাস, স্টেডিয়াম প্রশান্ত পাল, বলস সুরজিৎ নাথ, ফিজিক্যাল উৎপল দত্ত, গ্রাউন্ড কৌশিক রায়, সাংস্কৃতিক সত্যজিৎ দে, সুইমিং পরিতোষ চক্রবর্তী, হকি নিতাই পাল, ইনডোর নবেন্দু সিনহা।

Comments are closed.