
জয়ের ব্যাপারে আশাবাদী অন্যতম সহ-সভাপতি পদপ্রার্থী তিন দশক থেকে মাঠের সঙ্গে যুক্ত রয়েছি, মৃদুল
২২ বছর থেকে তিনি শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার জেনারেল কাউন্সিল মেম্বার। তবে মাঠের সঙ্গে তার সম্পর্ক আরো আগের। তিন দশকেরও বেশি সময় থেকে তিনি মাঠে ময়দানের সঙ্গে যুক্ত। বর্তমান কর্ম সমিতির সহ-সভাপতির(আদার্স) দায়িত্ব রয়েছেন তিনি। এবং গত চার বছরে সফলভাবেই নিজের দায়িত্ব সামলেছেন। তিনি অভিজ্ঞ ক্রীড়া সংগঠক নীলাভ মজুমদার। সবার কাছে তিনি মৃদুল দা নামেই পরিচিত। শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার নতুন কর্ম সমিতিতে ফের একবার সহ সভাপতি আদার্স পদে নিজের দাবি পেশ করেছেন মৃদুলবাবু।
রবিবার সংস্থার দ্বিবার্ষিক সাধারণ সভা। মৃদুলবাবু জানালেন, গত চার বছরে তাকে যা যা দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তিনি তা সফলভাবে পালন করেছেন। তবে কিছু অসম্পূর্ণ কাজ রয়ে গেছে। সেগুলো সম্পূর্ণ করার জন্যই তিনি নতুন কর্ম সমিতিতে একই পদে ফের আসতে চাইছেন। সহ-সভাপতি আদার্স পদের লড়াইয়ের জন্য মৃদুলবাবুর প্রতিপক্ষ সুশংকর রায়। মৃদুল মজুমদারকে সমর্থন করছে শাসকগোষ্ঠী। তিনি নিজেও বিজেপির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন। তবে মাঠে ময়দানে সেটাই তাঁর আসল পরিচয় নয়। ক্রীড়াঙ্গনে তার আসল পরিচয় তিনি একজন দক্ষ সংগঠক। উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে মৃদুল বাবুর প্রতিপক্ষ সুশংকর রায়ও যুক্ত রয়েছেন ভারতীয় জনতা পার্টির সঙ্গে। তবে তিনি স্থান পেয়েছেন বাবুল হোড়ের নেতৃত্বে বিরোধী শিবিরের প্যানেলে। কাজেই সহ-সভাপতি আদার্স পদের জন্য লড়াই হবে একই রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধির মধ্যে। যদিও বিষয়টাকে এভাবে দেখছেন না মৃদুল মজুমদার। তিনি বলেন, ‘দেখুন, গত তিন দশক থেকে আমি মাঠে ময়দানের সঙ্গে যুক্ত। জেলা ক্রীড়া সংস্থার জেনারেল কাউন্সিল মেম্বার গত ২২ বছর থেকে। ক্লাসমেট ইউনিয়ন ও নবারুণ গ্রন্থাগারের সভাপতি পদে রয়েছি প্রায় দুই দশক ধরে। কাজেই ক্রীড়াঙ্গনে এটাই তো আমার আসল পরিচয়।’
মৃদুলবাবু আরো বলেন, ‘দুজনেই একই পার্টি পার্টি হলেও সেটা কোন ফ্যাক্টর হবে না। জয়ের ব্যাপারে আমি আশাবাদী। আমার বিশ্বাস খেলাধুলার জগতে আমার অবদানের কথা বিচার করেই সংস্থার সদস্যরা আমায় আশীর্বাদ দেবেন।’ ফের একবার দায়িত্বে এলে ইনডোরের পরিকাঠামো উন্নয়নে বিশেষ জোর দেবেন মৃদুলবাবু। তিনি বলেন, ‘ফের দায়িত্বে এলে ব্যাডমিন্টনের ম্যাট বসানোর চেষ্টা করব। পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যেও জোর দেব। আগামী মাসেই রাজ্যভিত্তিক রেংকিং টুর্নামেন্টের আসর বসবে। তাই সেই টুর্নামেন্টের সফল আয়োজনের দিকেও জোর দেব।’ এখানেই না থেমে তিনি আরো বলেন, ‘দায়িত্বে এলে আমার কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ থাকবে অ্যাথলেটিক্সে গ্রামাঞ্চল থেকে প্রতিভা তুলে আনা। কারণ গ্রামাঞ্চলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। তবে পর্যাপ্ত সুযোগের অভাবে সেইসব প্রতিভার বিকাশ ঘটছে না। ভলিবলে প্রতিভা তুলে আনার জন্য শ্রীকোনাতে আমরা একটা একাডেমী করেছি। সেই একাডেমির মাধ্যমে যাতে গ্রামাঞ্চলের প্রতিভা গুলো উঠে আসতে পারে সেদিকে বিশেষ নজর দেব।’
জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কর্ম সমিতি আর্থিকভাবে খেলোয়াড়দের সাহায্য করার জন্য প্লেয়ারস ওয়েলফেয়ার ফান্ড গড়েছিল। সেই ফান্ডের জন্য টাকা জোগাড় করতে বিশেষ অবদান রেখেছিলেন মৃদুল মজুমদার। সংস্থার পক্ষ থেকে ওয়েলফেয়ার ফান্ডের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। ডোনেশন কুপনের মাধ্যমে একটা তহবিল গড়ার জন্য। তার নেতৃত্বে সেই ফান্ডের জন্য ১০ লক্ষ টাকা জোগাড় করে ছিলেন সংস্থার কর্মকর্তারা। সাম্প্রতিক কালে আসাম অ্যাথলেটিক সংস্থার বার্ষিক সাধারণ সভায় শিলচর ডি এস এর প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন মৃদুল বাবু। শুধু প্রতিনিধিত্ব করা নয়, সেই সভায় একজন অ্যাথলেটিকস কোচ নিয়োগ করার জোরালো দাবিও জানিয়েছিলেন।
Comments are closed.