Also read in

টি টি রাঙ্কিংয়ের প্লেয়ার্স রেজিস্ট্রেশনে অনিয়ম! এক মাসের বেশি পেরিয়ে গেলেও তৈরি হল না হিসেব-নিকেশ

গত মাসের প্রথম সপ্তাহে প্রথমবারের মতো শিলচরে অনুষ্ঠিত হয়েছিল টেবিল টেনিস রেংকিং প্রতিযোগিতা। ইন্ডিয়া ক্লাবের ইনডোরে অনুষ্ঠিত সেই আসরে রাজ্যের বিভিন্ন জেলা থেকে অংশ নিয়েছিলেন প্যাডলাররা। মোট ২১ জন অল ইন্ডিয়া রেংকিং খেলোয়াররা শিলচরে খেলেছিলেন। তবে এক মাসের বেশি সময় পেরিয়ে গেলেও আজ পর্যন্ত সেই আসরের হিসেব-নিকেশ পেশ করতে পারেনি অতনু ভট্টাচার্য নেতৃত্বাধীন শিলচর জেলা ক্রীড়া সংস্থার বর্তমান কমিটি। এমনকি আসরে মোট কতজন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন সেই হিসেব নিয়েও দেখা দিয়েছে গরমিল।

সংস্থার সচিব অতনু ভট্টাচার্য জানান, রেংকিং টিটি টুনামেন্টের একাধিক পেমেন্ট এখনো বাকি রয়েছে। এছাড়া টেন্টহাউস সহ আরো কিছু ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের বিলও এখনো জমা দেয়নি। তাই সম্পূর্ণ হিসেব নিকেশ করা যাচ্ছে না। এজন্যই রেংকিং প্রতিযোগিতার আয় ব্যয়ের হিসাব করা যায়নি। মূলত এই কারণেই শনিবার জিবি বৈঠকে রেংকিং এর হিসাব পেশ করা হয়নি। বিষয়টা এজেন্ডাতেও রাখা হয়নি।
উল্লেখযোগ্য বিষয় হচ্ছে, রেংকিং প্রতিযোগিতা সফল আয়োজন নিয়ে নিজেরাই ঢাকঢোল পিটিয়ে যাচ্ছে বর্তমান কমিটি। কিন্তু এমন একটা আসরে কতজন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন সেটাই জানেন না সংস্থার সচিব অতনু। এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি জানান, আসরে দেড়শ এর মত প্রতিযোগী অংশ নিয়েছিলেন। অথচ সংস্থার কোষাধক্ষ বুদ্ধদেব চৌধুরীর দেওয়া তথ্য অনুসারে রেংকিং প্রতিযোগিতায় মোট ২৩৮ জন খেলোয়াড় অংশ নিয়েছিলেন। এরমধ্যে ২১৫ জনের রেজিস্ট্রেশন ফি জমা পড়েছে সংস্থায়। বাকি ২৩ জনের মধ্যে ২১ জন ছিলেন রেংকিং খেলোয়াড়। আর দুজনকে মেডিকেল গ্রাউন্ডে ছাড় দেওয়া হয়েছে।
তবে সংস্থার এই তথ্য তেও ভুল রয়েছে। কারণ আসাম টেবিল টেনিস সংস্থার সচিব কারফিউ রায় জানিয়েছেন, শিলচরে রেংকিং প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন মোট ২৫০ জন প্রতিযোগী। এর অর্থ হচ্ছে, ডি এস এর হিসেবে গরমিল রয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে ১২ জন প্রতিযোগী কম দেখানো হয়েছে সংস্থার খাতায়। ফলে প্রায় সাড়ে ন হাজার টাকা কম জমা পড়েছে সংস্থার কোষাগারে। অথচ এই বিষয়ে কিছুই জানেনা সংস্থার সচিব অতনু। কিন্তু কেন? এর জবাবে পরক্ষে তিনি বুঝিয়ে দেন, তাকে কিছুটা মিসগাইড করা হয়েছে। প্রশ্ন হল, রেজিস্ট্রেশনের বিষয়টা লিখিত ছিল বলেই এই গরমিলের ব্যাপারটা সামনে এসেছে। কিন্তু টিটি রাংকিং এ অন্যান্য বিষয়গুলোতেও এমন গরমিল হয়নি তার নিশ্চয়তা কে দেবে? কারণ সচিব নিজেই তো কিছু জানেন না।

Comments are closed.