Also read in

করিমগঞ্জ এবং শিলচরে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি, হাইলাকান্দিতে পরিস্থিতি অপরিবর্তিত

এবারের বর্ষার মরশুমের প্রথম বন্যায় বরাক উপত্যকার তিন জেলায় নতুন নতুন অঞ্চল প্লাবিত হয়ে চলেছে । উপত্যকার প্রধান নদী বরাক সহ তার উপনদীগুলির জল বাড়তে থাকায় এবং বেশ কয়েকটি স্থানে নদীর জল বিপদসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হতে থাকায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এবারের বন্যায় কাছাড় জেলায় একজনের মৃত্যু হয়েছে এবং প্রায় পাঁচ হাজার লোক বন্যার কবলে পড়েছেন। শিলচর শহরসহ সংলগ্ন এলাকায় কয়েকদিনের এই প্রচণ্ড বর্ষণের ফলে জল জমে রয়েছে। শহরের অম্বিকাপুর, শিলংপট্টি, হাইলাকান্দি রোড সহ বহু এলাকায় জমা জলে জনজীবন ব্যাহত হচ্ছে । এদিকে বন্যা পরিস্থিতির মোকাবিলায় এবং বন্যায় মানুষের জীবন ও সম্পত্তি হানি হ্রাস করার উদ্দেশ্যে কাছাড়ের উপায়ুক্ত তথা জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা কমিটির চেয়ারম্যান লক্ষ্মনন আধিকারিকদের বিনা অনুমতিতে তাদের সদর কার্যালয় ছেড়ে না যেতে নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া বিভাগীয় কর্মকর্তাদের তাদের নিজস্ব বিভাগের গ্রহণ করা পদক্ষেপের প্রতিবেদন রোজ সকাল দশটার মধ্যে জেলা ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টারে জমা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে বরাক নদীর জল বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় নদীতে ফেরি চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতিবিহীন ফেরিতে চলাচল না করতে জনসাধারণের প্রতি আবেদন রাখা হয়েছে। তবে নদীর ওপারে বসবাসকারী লোকদের শহরে আসার জন্য রাজ্য সরকারের তরফ থেকে বাসসেবা চালু করার ব্যবস্থা করা হচ্ছে বলে উপায়ুক্ত জানিয়েছেন। গত ২৪ ঘণ্টায় ৮৬.২০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হওয়ার ফলে শিলচর-হাফলং এবং শিলচর-ইম্ফল সড়কের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়েছে।

এদিকে কেন্দ্রীয় জল কমিশন সূত্রে জানা গেছে যে বরাক নদীর জলসীমা স্থানীয় অন্নপূর্ণা ঘাটে আজ রাত ৮ টায় ছিল ২০.৯৩ মি: । এখানে নদীর বিপদ সূচক চিহ্ন হচ্ছে ১৯.৮৩ মিটার। আগামীকাল সকাল সাতটায় জল বেড়ে ২১.০৫ মিটারে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা রয়েছে।

করিমগঞ্জ জেলার পাথারকান্দি রাজস্ব চক্রের ১১০ টি গ্রামের ৭৫,২৭৪ জন মানুষ এই বন্যায় প্রভাবিত হয়েছেন। জেলা উপায়ুক্ত প্রদীপ কুমার তালুকদার পাথারকান্দির বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের নির্দেশ দিয়েছেন ।এই নির্দেশের পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল রাতেই বন্যা আক্রান্তদের জন্য ১০০০ কুইন্টাল চাল ও দুশো কুইন্টাল ডাল প্রদান করা হয়েছে। দশটি গ্রামে গত কয়েকদিনের লাগাতার বৃষ্টির ফলে চা বাগান এলাকায়ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে ।

 

 

রাজ্যের বন পরিবেশ এবং মৎস্য বিভাগের মন্ত্রী পরিমল শুক্লবৈদ্য আজ হাইলাকান্দি জেলার বন্যা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেন। মন্ত্রী কাটলিছড়া বিধানসভা এলাকার বন্যা প্রভাবিত এলাকা পরিদর্শন করে বন্যা আক্রান্তদের খোঁজখবর করেন ।তবে জেলার বন্যা পরিস্থিতি আজও অপরিবর্তিত রয়েছে। এদিকে উপিয়ুক্ত আদিল খান জানিয়েছেন যে এবারের বন্যায় জেলায় প্রায় ৬০ হাজার লোক এবং ৭৪০ হেক্টর কৃষি জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। জেলা দুর্যোগ মোকাবিলা কর্মকর্তাদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে জেলার দুই নদী ধলেশ্বর এবং কাটাখাল নদীতে জল কমছে ।

আমাদের সংবাদ দাতা জানাচ্ছেন, হাইলাকান্দি জেলার সামগ্রিক বন্যা পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে । জেলার ১০২ টি গ্রামের কম করেও ষাট হাজার লোক বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন।গ্রামের পর গ্রাম জলমগ্ন হয়ে পড়েছে ।ত্রাণের জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার দেখা দিয়েছে ।সরকারিভাবে হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন প্রান্তে ত্রকান্নটি ত্রাণ শিবির খোলা হলেও কোন শিবিরেই ত্রাণ মিলছে না বলে অভিযোগ ।হাইলাকান্দি জেলার পুর্বহাইলাকান্দি ত্রলাকায় বন্যা সংহারী রূপ ধারণ করেছে । ত্রাণের জন্য মানুষের মধ্যে হাহাকার বাড়ছে। হাইলাকান্দি জেলার ধলেশ্বর ভৈরবী জাতীয় সড়ক সহ প্রায় সবগুলি সড়ক জলমগ্ন হওয়ার ফলে জেলার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে । জেলার মাটিজুরিতে হাইলাকান্দি- শিলচর গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার উপর দিয়ে নৌকা চলাচল করছে । ত্রই ত্রলাকার ত্রাণ শিবিরে গিয়ে দেখা যায় মানুষ অনাহারে দিন কাটাছেন । শিবিরের মানুষ জানান যে তাদের ত্রখানে প্রশাসনের কোনো অফিসার ত্রসে খোঁজ নেননি ।হাইলাকান্দি, লালা ও কাটলিছড়া রাজস্ব চক্রের বিস্তীর্ণ এলাকা বন্যার কবলে পড়ায় সর্বত্রই এক হাহাকারজনক পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বুধবারের পর বৃহস্পতিবার রাত অবধি বন্যা পরিস্থিতির কোন উন্নতি হয় নি।
বরঞ্চ পরিস্থিতির আরও অবনতি ঘটেছে।

নিত্য নতুন এলাকায় ইএন্ডির বাঁধ ভেঙে বন্যার জল ঢুকে পড়ায় পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে। ঘরবাড়ি ছেড়ে অসহায় লোকেরা বিভিন্ন ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিলেও সরকারি তরফে কোনো ত্রান সামগ্রী না পৌঁছায় এক অবাঞ্ছিত পরিস্থিতির তৈরি হয়েছে । জেলার সব কটি সড়কের স্থানে স্থানে বন্যার জল উঠে পড়ায় জেলা সদর সহ বাইরের সাথে বিভিন্ন এলাকার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। বুধবার রাতে কাঁটাখাল নদীর জল বাড়তে থাকায় লালামুখ বাগানের কুনকুন বস্তী এলাকায় ইএন্ডি বাঁধ ভেঙে বন্যার জল ঢুকে যায়।যার ফলে লালা সার্কলের অন্তর্গত লালামুখ,লালাছড়া,গাগলাছড়া চা বাগান এলাকা পুরো বন্যার কবলে চলে যায়।যার ফলে ঘরবাড়ি ছেড়ে বাগান শ্রমিকরা অসহায় হয়ে বাগান নাচঘর, হাসপাতাল,স্কুলে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিলেও পর্যাপ্ত রেশন সামগ্রীর অভাব দেখা দিয়েছে বাগান শ্রমিকদের মধ্যে।বাগান কর্তৃপক্ষের কাছে পর্যাপ্ত রেশন সামগ্রী না থাকায় পরিস্থিতি জটিল আকার ধারণ করেছে।একই ভাবে বুধবার রাতে লালার লালাছাড়া বাগানের ফেক্টরি সংলগ্ন এলাকায় কাঁটাখাল নদীর বাঁধ ভেঙে যায়।যার ফলে গোটা বাগান এলাকায় জল ঢুকতে শুরু করে।

 

 

এই অবস্থার আরও অবনতি ঘটে যখন ওই বাগানের বিবি মোদী নামের নদীর বাঁধটি ভেঙে যায়।যার ফলে বন্যার জল ঢুকে গিয়ে লালামুখ বাগান হয়ে বৃহত্তর কাছাড়িথল এলাকা প্লাবিত হয়ে যায়।একের পর এক বাঁধ ভেঙে বন্যার জল ঢুকতে থাকায় গাগালাছড়া থেকে বিলাইপুর ফাইসেন পূর্ত সড়কের যোগাযোগ ব্যবস্থা বর্তমানে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।বিচ্ছিন্ন রয়েছে লালাছড়া থেকে সোনাছড়া-রূপাছড়া বাগানের মধ্যের যোগাযোগ ব্যবস্থাও। গাগলাছাড়া ধোয়ারবন্দ হয়ে শিলচর সড়ক জলের তলায় থাকায় এই রুটে বৃহস্পতিবার যান চলাচল বন্ধ রয়েছে।তসলার ভাঙন দিয়ে ধেয়ে আসা জলে নরসিংপুর বাগান,কালাছড়া এলাকা প্লাবিত করে রেখেছে।এদিকে বুধবার রাতে লালার মামাদপুর(মুল্লারকোপা) এলাকায় নদীর বাঁধ ভেঙে যাওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হয় ।নিজবার্নরপুর সর্বানন্দপুর জিপির বিভিন্ন এলাকা জলে প্লাবিত হয়ে লালা শহর সংলগ্ন গ্রামগুলিতে বন্যার জল ঢুকে যায়।অন্যদিকে নিমাইচাঁন্দপুর তসলার নদী ভাঙন এর সঙ্গে নালুবাক এলাকা থেকে নদীর জল ঢোকা অব্যাহত থাকায় বৃহস্পতিবার সকাল হতে হতে আমালা এলাকার মধ্যদিয়ে যাওয়া ১৫৪ নম্বর জাতীয় সড়ক জলের নিচে চলে যায়।রৌয়ারপারের বড় ঈদগাহ জলের নিচে চলে যায়।বন্যার জলে প্লাবিত হওয়ার ফলে ঝুঁকি নিয়ে জাতীয় সড়ক দিয়ে যান চলাচল করে। দক্ষিণ হাইলাকান্দির ধলাই মলাই,

মনিপুর গ্রামথান , লালপানি নিস্কর এলাকা পুরোপুরি জলমগ্ন। গ্রামথান এলাকার বন্যা দুর্গতরা মনিপুর রেল স্টেশনে আশ্রয় নিয়েছেন। তৎসঙ্গে গ্রামথান দুর্গাবাড়িতেও আশ্রয় নিয়েছেন। এদিকে হাইলাকান্দি জেলার বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ হয়ে উঠলেও বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত অধিকাংশ বন্যাক্রান্ত এলাকা কিংবা শিবিরে সরকারিভাবে কোন ত্রান সামগ্রী পৌছায় নি। যদিও হাইলাকান্দি জেলা প্রশাসন বৃহস্পতিবার জেলার কাটলিছড়া, লালা ও হাইলাকান্দি রাজস্ব চক্র এলাকার বন্যাক্রান্তদের জন্য ৪৫২ কুইন্টাল ৫২ কেজি চাল, ৮৫ কুইন্টাল ৭৬ কেজি ডাল ও ২৬ কুইন্টাল দুই কেজি লবন মঞ্জুর করে। সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এদিন কাটলিছড়া রাজস্ব চক্রে ১৭৫ কুইন্টাল চাল, ৩২ কুইন্টাল ৭০ কেজি ডাল ও ৯ কুইন্টাল ৫২ কেজি লবন পৌঁছে দেওয়া হয়। অন্যদিকে লালা রাজস্ব চক্রে এদিন ১২০ কুইন্টাল চাল, বাইশ কুইন্টাল ৯৬ কেজি ডাল, ও সাত কুইন্টাল ৫০ কেজি লবন দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া হাইলাকান্দি রাজস্ব চক্রে ১৫০ কুইন্টাল চাল, ৩০ কুইন্টাল ১০ কেজি ডাল, ও ৯ কুইন্টাল লবন দেওয়া হয়েছে। সরবরাহ বিভাগের পক্ষ থেকে এদিনের জন্য ওই ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হলেও অধিকাংশ এলাকায় তা পৌঁছায় নি। সরকারি ত্রাণ না পৌঁছালেও এদিন বেসরকারি ভাবে কিছু ত্রলাকায় ত্রাণ বিতরণ চলছে ।

 

বৃহস্পতিবার হাইলাকান্দি বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষে জেলার মাটিজুরি পাইকান ইতাদি ত্রলাকার মানুষের মধ্যে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে ।ত্রদিন মহিলা মোর্চার জেলা সভাপতি অনামিকা আচার্য, সহসভাপতি জয়দীপা পাল , রতনী পাল ত্রবং আভা দেবনাথ প্রমুখ বানভাসি মানুষের মধ্যে চিড়া, কলা ত্রবং জল পরিশোধন প্যাকেট বিতরণ করেছেন । অন্যদিকে এদিন হাইলাকান্দি জেলা কংগ্রেস সভাপতি রাহুল রায়ের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল ডিডিসি এফ আর লস্করের সাথে সাক্ষাৎ করে বন্যা আক্রান্তদের মধ্যে পর্যাপ্ত ত্রান বন্টনের দাবি জানান। অনুরূপভাবে এদিন সংখ্যালঘু কংগ্রেস নেতা সামস উদ্দিন বড়লস্কর ও রুকন উদ্দিনের নেতৃত্বে অপর এক প্রতিনিধিদল ডিসির সাথে সাক্ষাৎ করে অনুরূপ দাবি জানান। এদিকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, জেলার তিনটি রাজস্ব চক্রের ১০২ টি গ্রামের প্রায় ষাট হাজার লোক বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন।। তাছাড়া ৭৪০ হেক্টর কৃষি জমির ফসল নস্ট হয়েছে। জেলায় ৫১ টি ত্রান শিবির খুলে ত্রাণ সামগ্রী দেওয়া হচ্ছে। এছাড়া আটটি মোটর নৌকা দিয়ে উদ্ধার অভিয়ান চালানো হচ্ছে। জেলার এগারোটি সড়ক সহ অসংখ্য কালভার্ট বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এগারোটি সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। এদিকে অসম প্রদেশ কংগ্রেস সম্পাদক দিলোয়ার হোসেন বড়ভুইয়া বুধবার রাতে বন্যাক্রান্ত এলাকা পরিদর্শন করে বৃহস্পতিবার ওই সব এলাকায়

 

 

পর্যাপ্ত ত্রাণ প্রদানের জন্য জেলা শাসকের কাছে দাবি জানান।  হাইলাকান্দির প্রত্যন্ত এলাকার বন্যাক্রান্তরা রীতিমত অনাহারে, অনিদ্রায় শিবির কিংবা খোলা মাঠের বাঁধের উপর রাত কাটাচ্ছেন। যদিও ভয়াবহ বন্যার কবলে বিপর্যস্ত হাইলাকান্দি জেলার বিভিন্ন এলাকার বন্যাক্রান্তদের মধ্যে
সামান্য হলেও ত্রান সামগ্রী বন্টনে বৃহস্পতিবার এগিয়ে আসে বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সহ রাজনৈতিক দল। এদিন বন্যাক্রান্ত এলাকা সহ বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে বন্যা দুর্গতদের হাতে ত্রান সামগ্রী তুলে দেয় বিজেপি, আর এস এস, হিন্দু জাগরন মঞ্চ, লালা লায়ন্স ক্লাব, লালা ইদ মিলন সমিতি সহ বিভিন্ন সংগঠন। আর এস এসের সেবা বিভাগ ও হিন্দু জাগরন মঞ্চের পক্ষে এদিন ধ্রুবজ্যোতি নাথ, প্রানতোষ নাথ, রনজয় নাথ, অঞ্জন নাথ মজুমদার,অমলেন্দু নাথ প্রমুখের নেতৃত্বে এক প্রতিনিধিদল লালার ভেটালা, মুক্তাছড়া, রায়পাড়া, রৌয়ারপার, নালুবাক ইত্যাদি এলাকায় গিয়ে বন্যাক্রান্তদের হাতে চিড়া, গুড়, চিনি, ব্রেড, বিস্কুট, পানীয় জল ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। অন্যদিকে ভারতীয় জনতা পার্টির হাইলাকান্দি জেলা কমিটি ও লালা ব্লক মন্ডলের পক্ষে এদিন ক্ষিতিশ রঞ্জন পাল, সুধাংশু দাস, গোবিন্দ লাল চ্যাটার্জী, চিন্ময় নাথ মজুমদার, পুলক নাথ, বিভাস সিংহ প্রমুখ এদিন লালার কালাছড়া, গাগলাছড়া সহ কাটলিছড়ার বাজিমারা , লালপানি এলাকায় খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করেন। অপরদিকে এদিন লালা ঈদ মিলন সমিতি ও লালা লায়ন্স ক্লাবের পক্ষ থেকে কাটলিছড়ার বন্যাক্রান্ত রংপুর চতুর্থ খন্ড এলাকা সহ , জিসি এম ভি স্কুল, এস সি এম ভি স্কুল শিবিরে খাদ্য সামগ্রী বন্টন করা হয়। দুই সংস্থার পক্ষ থেকে জয়নাল উদ্দিন লস্কর, নুরুল হুদা চৌধুরী, মনোয়ার হোসেন চৌধুরী, নুরুল হোসেন মহুমদার, হিফজুর রহমান লস্কর প্রমুখ

বন্যা দুর্গতদের হাতে মিনারেল ওয়াটার, বিস্কুট, খেজুর ইত্যাদি খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন । অপরদিকে কাটলিছড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে এদিন বিভিন্ন শিবিরে গিয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা সহ ওষুধপাতি বিতরন করেন ডা: সুব্রত দে, নিপেন্দ্র দাস প্রমুখ। অন্যদিকে হাইলাকান্দির বিধায়ক আনোয়ার হোসেন লস্কর বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে বন্যাক্রান্তদের খোজ খবর নিয়ে খাদ্য সামগ্রী বন্টন করেন।

 

 

 

 

 

 

 

Comments are closed.