দুদিন ধরে বিদ্যুৎ প্রায় নেই : বিদ্যুৎ বিভাগের এসডিওর দপ্তরে বিক্ষোভ, মুখ্যমন্ত্রীর কুশপুতুল দাহ
করিমগঞ্জ জেলার নিলামবাজার এলাকার বিভিন্ন সংস্থার সদস্যবৃন্দ এবং গ্রামবাসীরা মিলে বিগত দু’দিন ধরে এলাকায় বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার প্রতিবাদে আজ বিদ্যুৎ বিভাগের এসডিও অফিসের গেট বন্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ দেখান এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালের কুশপুত্তলিকাও দাহ করেন।
করিমগঞ্জ জেলা এনএসইউআই বরাক এনজিও এবং গ্রাম উন্নয়ন সংস্থা সহ স্থানীয় জনগণ নিলামবাজার সাব ডিভিশন্যাল অফিসের সামনে উপস্থিত হন সকাল ১১ টায়। তারা দুপুর ১২.৩০ মিনিটে দপ্তরের সদর দরজা বন্ধ করে দেন। তারপর উত্তেজিত জনগণ জাতীয় সড়ক অর্থাৎ আসাম ত্রিপুরা রাস্তায় অবরোধ সৃষ্টি করেন এবং মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল এর কুশপুত্তলিকা দাহ করে দুদিন ধরে বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকায় তাদের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ করেন।
এনএসইউআই’য়ের জেলা সভাপতি ইসমাইল হোসেন বরাক এনজিওর সভাপতি এম মিয়া এবং গ্রামীণ উন্নয়ন সংস্থার সভাপতি এফ রহমান তপাদার জানান যে নিলামবাজার বিদ্যুৎ বিভাগের আওতাধীন মোটামুটি ৫০০ গ্রামের জনগণ বেশ কয়েক মাস ধরে এই সমস্যার মোকাবিলা করে চলেছেন। কিন্তু গত দু’দিন ধরে এটা সহ্য সীমার বাইরে চলে গেছে।
তারা অভিযোগ করেন যে গত ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে মাত্র ১০ ঘণ্টা বিদ্যুৎ পাওয়া গেছে, যার ফলে এলাকার জনগণ প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তারা বিদ্যুৎ বিভাগের সাথে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু
তাদের কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি।
এলাকাবাসী জানান যে, সাব ডিভিশন্যাল ইঞ্জিনিয়ার কল্লোল দেব রায় কাজে যোগ দেওয়ার পরে তার গাফিলতিতেই অবস্থার অবনতি হয়েছে। তারা দেব রায়কে ছাঁটাই করার দাবি করেন এবং হুমকি দেন যে এটার সুষ্ঠু সমাধান না হলে তারা ভবিষ্যতে আরো জোরদার আন্দোলন শুরু করবেন।
জানা গেছে যে নিলামবাজার, সুপ্রাকান্দি, গানদাই, বালিয়া প্রভৃতি অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি সমস্যার সৃষ্টি হয়েছে।
কল্লোল দেব রায় এ ব্যাপারে জানিয়েছেন যে, নিলামবাজার ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনে পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে না, যার জন্য কয়েকটি গ্রামে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। খুব শিগগিরই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে একটা সুষ্ঠু সমাধান করা হবে।
দক্ষিণ করিমগঞ্জের বিধায়ক আজিজ আহমেদ খান জানিয়েছেন যে তিনি ব্যাপারটা নিয়ে উপযুক্ত কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলাপ করবেন যাতে এই সমস্যার খুব তাড়াতাড়ি একটা সমাধান হয়।
Comments are closed.