Also read in

নাগরিকত্ব বিল পাস না হলে দ্বিতীয় কাশ্মীর হবে আসাম', বিলের সমর্থনে ধর্ণা শিলচরে

নাগরিকত্ব বিল পাস না হলে দ্বিতীয় কাশ্মীর হবে আসাম। এই বিল পাস না করার জন্য চলছে এক চক্রান্ত। হিন্দু বাঙালিরা তাহলে ভাসমান জনগোষ্ঠী হয়ে থাকবে। তাই দেশ ও জাতির স্বার্থে এই নাগরিকত্ব বিল পাস করা খুবই জরুরি। শুক্রবার শিলচরে ক্ষুদিরাম বসুর মূর্তির পাদদেশে দ্য নর্থ ইস্ট লিঙ্গুইস্টিক এণ্ড এথনিক কো-অর্ডিনেশন কমিটি আয়োজিত ধর্ণা কার্যসূচিতে এই বক্তব্য রাখেন বিভিন্ন বক্তা।
নাগরিকত্ব বিলের সমর্থনে এই সংগঠন এদিন দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ধর্ণা কর্মসূচি পালন করেছে। এই সংগঠনে বরাক উপত্যকার মণিপুরি, বিষ্ণুপ্রিয়া মণিপুরি, ডিমাছা জনগোষ্ঠী সহ বিভিন্ন সংগঠন যুক্ত রয়েছে। এতে রয়েছেন প্রখ্যাত ও বিশিষ্ট সমাজসেবী, চিকিৎসক বুদ্ধিজীবিরাও। শুরুতে বক্তব্য রাখেন বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি আইনজীবি শান্তনু নায়েক। তিনি বিলের সমর্থনে বক্তব্য রেখে এ ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে আন্দোলন তীব্রতর করার আহ্বান জানান।

চিকিৎসক কুমার কান্তি দাস (লক্ষণ দাস) বিলের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। এ বিলের যে বিরোধিতা হচ্ছে সে ব্যাপারে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। আইনজীবি সুস্মিতা পুরকায়স্থ বলেন,এই বিল পাস না হলে হিন্দু বাঙালি সহ অন্যান্য লোকেদের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়ে যাবে। এমনিতে এনআরসির এক এর পর এক নির্দেশিকায় বরাক উপত্যকার বাঙালিরা হেনস্থার শিকার হচ্ছেন। টেনশনে অসহায় লোকেদের নাজেহাল অবস্থা। এর ফলে নাগরিকত্ব বিল নিয়ে চক্রান্তের খেলা চলছে।তিনি মনে করেন, এই বিল পাস না হলে অদূর ভবিষ্যতে দ্বিতীয় কাশ্মীরের রূপ নেবে আসাম।

আইনজীবি অরিজিৎ দেব বলেন, বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে নির্যাতনের বলি হয়ে যারা ভারতে এসেছেন তাদের ন্যায়বিচার পাইয়ে দিতে এই নাগরিকত্ব বিল এনেছে কেন্দ্রীয় সরকার। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ তথা বিজেপি নেতা ড: পার্থসারথি চন্দ বলেন, উত্তর-পূর্বাঞ্চল থেকে ভারতকে পৃথক করার জন্যই নাগরিকত্ব বিলের বিরোধিতা করছে একটি চক্র। দেশে ৮৫% হিন্দু লোক রয়েছেন। তথাপি হিন্দুদের স্বার্থে বিলকে সমর্থন করা জরুরি। কিন্তু একটি চক্র এর বিরোধিতা করে চলেছে। শিলচরের সাংসদ সুস্মিতা দেব, আসু নেতা সমুজ্জ্বল ভট্টাচার্য ও কৃষক নেতা অখিল গগৈর তীব্র সমালোচনা করেন তিনি।অধ্যাপক চন্দ আরো বলেন, এই বিল পাস না হলে হিন্দু জনগোষ্ঠী ভাসমান জনগোষ্ঠী হিসেবে পরিচিতি পাবে। এই বিল হিন্দু বাঙালি সহ উপত্যকার অন্যান্য জনগোষ্ঠীর জন্য আত্মরক্ষার বিল, বেঁচে থাকার দলিল বলে মনে করেন তিনি।

এ দিনের ধর্ণা কার্যসূচিতে বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর প্রতিনিধি নেতারা নাগরিকত্ব বিলের সমর্থনে বক্তব্য রাখেন। তারা বিল পাস করার ব্যাপারে অদূর ভবিষ্যতে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেছেন। উল্লেখ্য, বরাক উপত্যকার বিভিন্ন জনগোষ্ঠী, সংগঠন, সংস্থা বুদ্ধিজীবিদের নিয়ে গত ৫ জুন দ্য নর্থ ইস্ট লিঙ্গুইস্টিক এণ্ড এথনিক কো-অর্ডিনেশন কমিটি গঠন করা হয় শিলচরে, যার প্রধান লক্ষ্য নাগরিকত্ব বিল পাস করানো।

Comments are closed.