শারীরিকভাবে অক্ষম ব্যক্তির মৃতদেহ শিলচরে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার
২৪ বছর বয়সী শারীরিকভাবে অক্ষম হরিচরণ দাসের মৃতদেহ ভাসমান অবস্থায় পাওয়া গেছে শিলচরের অনুকূল ঠাকুরের আশ্রমের পাশে বিশফুটি এলাকায় । জানা গেছে,হরিচরণ দাস বিশফুটি এলাকায় তার বড় বোনের সঙ্গে বসবাস করতেন এবং গত তিন দিন থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। আজ সকালে জেলেরা মাছ ধরতে এলে দেহটি বিষফুটির নর্দমায় ভাসমান অবস্থায় দেখতে পান।খবর পেয়ে দাসের পরিবারের সদস্যরা সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং তারা দেহটি হরিচরণ দাসের বলে চিহ্নিত করেন। স্থানীয় পৌরসভার ওয়ার্ড কমিশনার রাজেশ কুমার দাসও ঘটনাস্থলে পৌঁছান। তিনি আমাদের জানান যে হরিচরণ দাস প্রায়ই বন্যার জলে থার্মোকলের বুড়া চড়ে বেড়াতে বেরোতেন।সন্দেহ করা হচ্ছে, বন্যার কারণে ওই স্থানে জলের পরিমাণ অত্যধিক হওয়ায় থার্মোকলের তৈরি বুড়াটিতে চড়ে যাওয়ার সময় হরিচরণ কোনো কারণে নিজের ভারসাম্য বজায় রাখতে না পেরে পড়ে যান। শারীরিক ভাবে অক্ষম হওয়ার জন্য সাঁতার কাটা তার পক্ষে সম্ভব হয়নি বলে তিনি জলের নিচে তলিয়ে যান।
রাজেশ কুমার আরও যোগ করেন যে, হরিচরণ শারীরিকভাবে জন্মগতভাবে অসুস্থ ছিলেন না, “তিনি নির্মাণস্থলে যুগালির কাজ করতেন এবং কয়েক বছর আগে চেংকুরি রোডের একটি স্থানে তার দুর্ঘটনা ঘটে। হরিচরণ দ্বিতীয় তলা থেকে পড়ে যান এবং তার পা হারিয়ে ফেলেন, এই ঘটনাই তাকে শারীরিক ভাবে অক্ষম করে তুলে বলে জানান রাজেশ কুমার। তিনি মনে করেন, যেহেতু তার পা নেই তাই তিনি বাঁচার উপায় হিসেবে সাঁতার কাটাতে পারেননি। হরিচরণের পরিবারের সদস্যরা দেহ সনাক্ত করার পর সার্কেল অফিসারকে এই মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানানো হয় এবং মৃতদেহটি পোস্টমর্টেমের জন্য পাঠানো হয়। “যেহেতু তার বন্যার জলে পড়ে মৃত্যু হয়েছে তাই যাতে একটি সরকারি ক্ষতিপূরণ পাওয়া যায় সেজন্য সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা যথাযথভাবে পালন করা গুরুত্বপূর্ণ। আমি ক্ষতিপূরণ পাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করার জন্য ব্যক্তিগত ভাবে দেখছি” জানালেন দাস।
Comments are closed.