
হোলসেল কো-অপারেটিভ সোসাইটির গুদাম থেকে তিন ট্রাক অবৈধভাবে মজুদ করা চাল বাজেয়াপ্ত, প্রশ্নের মুখে সোসাইটি
শিলচর হোলসেল কো-অপারেটিভ সোসাইটির মজুদ ভাণ্ডার থেকে মঙ্গলবার প্রায় ৩০০ কুইন্ট্যাল অবৈধভাবে মজুদ করা চাল বাজেয়াপ্ত করলো খাদ্য, অসামরিক সরবরাহ ও উপভোগ বিষয়ক বিভাগ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে এদিন দুপুরে আকস্মিকভাবে তল্লাশি অভিযানে নামে বিভাগের এক দল। এতে তিনটি লরি বোঝাই অতিরিক্ত চাল পাওয়া যায়। আপাতত এই চালগুলো সরকারি তত্ত্বাবধানে রাখা হয়েছে।
অন্য এক অভিযানে বড়খলার জাটিঙ্গা সমবায় সমিতির গোদামে সরকারি হিসাব থেকে প্রায় ৩০০ কুইন্ট্যাল চাল কম পাওয়া গেছে। তবে দুই ঘটনার মধ্যে সরাসরি কোনও যোগসূত্র রয়েছে কি না তা খতিয়ে দেখা হবে বলে বিভাগের পক্ষে জানানো হয়েছে।
খাদ্য, অসামরিক সরবরাহ ও উপভোগ বিষয়ক বিভাগের কাছাড় জেলার সুপার বিপুল তালুকদার মঙ্গলবার সন্ধ্যায় বিভাগের কার্যালয়ে বসে জানান, বেশ কিছুদিন ধরেই বিভাগের কাছে সরকারি চালের নয়-ছয় নিয়ে অভিযোগ আসছিল। এবার গোপন তথ্য অনুযায়ী পরপর দুটি অভিযানের ছক বানানো হয়। মঙ্গলবার এটি কার্যকরী করা হয়।
সরকারের তরফে যোগান দেওয়া চাল গরিব দুঃস্থ মানুষের জন্য পাঠানো হয়ে থাকে। হোলসেল কো-অপারেটিভ সোসাইটি থেকে রেশন দোকান হয়ে সাধারণ মানুষের কাছে গিয়ে তা পৌঁছায়। এসব নিয়ে যারা নয়-ছয় করার চেষ্টা করছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিষয়টি নিয়ে তদন্ত হচ্ছে। তবে আপাতত জানা গেছে, জুন মাসের ২৮, ২৯ এবং ৩০ তারিখ জাটিঙ্গা সমবায় সমিতির গোদাম থেকে তিন লরি চাল ছাড়া হয়েছিল। যদিও এগুলো ঠিক জায়গায় গিয়ে পৌঁছায়নি। আজ প্রায় একই পরিমানের চাল শিলচর হোলসেল কো-অপারেটিভ সোসাইটির মজুদ ভাণ্ডার থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।এখন প্রশ্ন হচ্ছে, তবে কি সাধারণ মানুষের জন্য সরকারের পক্ষে রেহাই মূল্যে পাঠানো চালের নয়-ছয়ের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে শিলচর হোলসেল কো-অপারেটিভ সোসাইটির একাংশ?
Comments are closed.