
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে যৌন হেনস্থা : সুদীপ্ত সরকার নিরাকার মল্লিক সাময়িক বরখাস্ত
আসাম বিশ্ববিদ্যালয়ে এগ্রিকালচারাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান সুদীপ্ত সরকার কে যৌন হেনস্তার দায়ে আজ বরখাস্ত করা হলো।
এম-টেক ক্লাসের চতুর্থ সেমিস্টারের এক ছাত্রী বিগত ১৬ ই জুলাই বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে সুদীপ্ত সরকারের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করে। এই নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ইউনিয়ন রেজিস্ট্রার প্রদীপ ভট্টাচার্য এবং উপাচার্যের দায়িত্ব প্রাপ্ত ডি কে পান্ডিয়াকে গত ২৬ জুলাই ঘেরাও করে, যার ফলশ্রুতিতে ওইদিনই সরকারকে বিভাগীয় প্রধানের পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
মিলন দাস এর নেতৃত্বে ছাত্র ইউনিয়নের সদস্যরা আজ বিশ্ববিদ্যালয় গেইটে সকাল ৯-৩০ মিনিটে হাজির হয়ে সরকারের বরখাস্তের দাবিতে ধর্না শুরু করে।
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে সকাল ১১-৪৫ মিনিট পর্যন্ত কেউ কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়ায় ছাত্ররা উপাচার্যের কাছে হাজির হয়। তারপর কর্তৃপক্ষ সুদীপ্ত সরকার কে বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নেন।
সুদীপ্ত সরকার সাথে সমাজতত্ত্ব বিভাগের নিরাকার মল্লিককে ও একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে বরখাস্ত করা হয়। একজন গবেষক ছাত্র ২০১৬ ইংরেজিতে মল্লিকের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ দায়ের করেছিল। ব্যাপারটা এতদিন তদন্তাধীন ছিল কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
উপাচার্য দিলীপ চন্দ্র নাথ জানিয়েছেন যে সরকার এবং মল্লিক দু’জনকেই সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
ছাত্র ইউনিয়নের সভাপতি মিলন দাস এব্যাপারে বিচার বিভাগীয় তদন্তের দাবি করেছেন সারা কাছাড় করিমগঞ্জ হাইলাকান্দি ছাত্র সংস্থা (ACKHSA) ‘র উপদেষ্টা রুপম নন্দীপুরকায়স্থ, যিনি নিজেও প্রতিবাদ কর্মসূচিতে সামিল হয়েছিলেন, দাসের বক্তব্যকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং বলেছেন যথাযথ তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে কড়া শাস্তি নিতে হবে। অন্যথায় আরও জোরদার প্রতিবাদী আন্দোলনের হুমকি দেন তিনি।
সংস্থার সদস্য সাইদুর রহমান, রিপন লস্কর, সানি হাজাম, সুকুমার দাস প্রমূখ এই কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন।
Comments are closed.