শান্তির দ্বীপ বরাক উপত্যকা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার এবং এনআরসি'তে দাবি,আপত্তি ও সংশোধনের সময়সীমা ১২০ দিন করার দাবি জানাল বরাক বঙ্গ
শান্তির দ্বীপ বরাক উপত্যকার তিন জেলা কাছাড়, করিমগঞ্জ ও হাইলাকান্দি থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, এনআরসি নিয়ে দাবি- আপত্তি-সংশোধনের সময়সীমা ১২০ দিনে বৃদ্ধি, মেঘালয়- মনিপুরে বাঙ্গালিদের হয়রানি বন্ধের দাবি জানাল বরাক উপত্যকা বঙ্গ সাহিত্য ও সংস্কৃতি সম্মেলন। রবিবার হাইলাকান্দি বঙ্গ ভবনে সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সভাপতি সৌরিন্দ্র কুমার ভট্টাচার্যের পৌরোহিত্যে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহক সমিতির এক সভায় বরাক উপত্যকার তিন জেলা থেকে ১৪৪ ধারা প্রত্যাহার, মেঘালয়ের রাতাছড়ায় খাসি সংগঠন সহ , মেঘালয় পুলিশের হয়রানি বন্ধ করার দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়ালের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়।
সভায় বিভিন্ন বক্তা অভিমত ব্যাক্ত করে বলেন, এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া প্রকাশের পর বরাক উপত্যকার নাগরিক সমাজ ধৈর্য, সংযম এবং সমন্বয়ের পরিচয় দেওয়ায় অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সনোয়াল যখন উপত্যকাবাসী জনগনের প্রশংসা করছেন ঠিক সেই মুহুর্তে এ উপত্যকায় ১৪৪ ধারা বলবৎ থাকার কোন মানে নেই। তাই ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাইলাকান্দি, করিমগঞ্জ ও কাছাড়ের উপায়ুক্তের মাধ্যমে স্মারকপত্র তিন জেলা সমিতি প্রদান করবে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।।
শান্তির দ্বীপে ১৪৪ ধারা জারি নিয়ে সভায় গভীর উৎকণ্ঠা ব্যক্ত করা হয়। তাছাড়া সভায় রাষ্ট্রীয় নাগরিকপঞ্জির দাবি, আপত্তি, ও সংশোধনের সময়সীমা এক মাসের পরিবর্তে কম করেও ১২০ দিনে বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়। এদিনের সভায় নাগরিকপঞ্জির খসড়া প্রকাশের পরবর্তী পরিস্থিতি নিয়ে দীর্ঘ পর্যালোচনা করা হয়।। খসড়া থেকে বাদ পড়া চল্লিশ লক্ষ মানুষের দাবি, আপত্তি ও সংশোধন মাত্র এক মাস সময়ের মধ্যে সম্ভব নয় বলে সভায় অভিমত ব্যাক্ত করে তা বৃদ্ধির দাবি জানানো হয়।। এব্যাপারে কেন্দ্রীয় সরকার সহ এনআরসি’র রাজ্য সমন্বয়ক কে স্মারকপত্র প্রদানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া এন আর সি দাবি ফর্ম পুরনে ভারতের নাগরিকত্ব আইনের থ্রি, (৩) এ ধারা এবং আপত্তির ক্ষেত্রে
অভিয়োগকারীকে সংশ্লিষ্ট নাগরিক সেবা কেন্দ্রের এলাকার নাগরিক হওয়াটা বাধ্যতামূলক করার দাবি জানিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের দৃষ্টি আকর্ষন করা হয়।
এদিনের সভায় অন্যদের মধ্যে সম্মেলনের কেন্দ্রীয় সম্পাদক সব্যসাচী রায়, নীতিশ ভট্টাচার্য, বিভাস রঞ্জন চৌধুরী, ইমাদ উদ্দিন বুলবুল, সঞ্জীব দেব লস্কর, তৈমুর রাজা চৌধুরী, গৌতম প্রসাদ দত্ত, বিনোদ লাল চক্রবর্তী, তমোজিৎ সাহা, আশিস চৌধুরী, প্রমুখ বক্তব্য রাখেন। সভায় অন্যান্যদের মধ্যে সুব্রত শর্মা মজুমদার, অশোক দত্তগুপ্ত, সুদর্শন ভট্টাচার্য, জিতেন্দ্র নাথ, মাসুক আহমেদ, সব্যসাচী পুরকায়স্থ, দীপক সেনগুপ্ত প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন। আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে হাইলাকান্দিতে সম্মেলনের কেন্দ্রীয় অধিবেশন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এছাড়া আগামী ৯ নভেম্বর থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত শিলচরে, ২০ নভেম্বর থেকে ২৬ নভেম্বর পর্যন্ত হাইলাকান্দিতে এবং ২৮ নভেম্বর থেকে ৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত করিমগঞ্জে বই মেলা আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।।
Comments are closed.