Also read in

সন্ধ্যা ৬ টার পরে কোনও বিসর্জন নয়; জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নোটিস জারি

 

দেবী দুর্গা ও কালীমায়ের মূর্তি ছাড়া সদরঘাটের বিসর্জন ঘাটে অন্য কোনো মূর্তি বিসর্জনের অনুমতি নেই। শিলচর পুরসভা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুরের স্বাক্ষরিত একটি আদেশে জেলা প্রশাসন এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করে।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে যে, দুর্গা ও কালী মূর্তি ছাড়া  সন্ধ্যা ৬ টার পরে   অন্য কোনও মূর্তি বিসর্জনের অনুমতি দেওয়া হবে না। চিঠিতে আরও বলা হয়েছে যে বিসর্জন মিছিলের সময় সাধারণ মানুষ যে বিভিন্ন অসুবিধাগুলির মুখোমুখি হন সেগুলোর কথা বিবেচনা করেই এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। এখানে উল্লেখযোগ্য যে এবছরের মনশা পূজার সময় শিলচরের মানুষ অপরিকল্পিত এবং অসংগঠিত বিসর্জন মিছিলের ফলে প্রচণ্ড অসুবিধার সন্মুখীন হন এবং ব্যাপারটা সমালোচিতও হয়। সোশাল মিডিয়ায় এ নিয়ে বেশ কিছু পোস্টও ছিল। উচ্চস্বরে এ যুগের গান চালানো থেকে শুরু করে অত্যধিক ট্র্যাফিক জ্যামে মানুষের অসুবিধের কথা পোস্টগুলোতে জায়গা করে নিয়েছিল। ফেসবুকে একটি পোস্টের কথা এখানে উল্লেখ করা যায়, একজন লিখেছিলেন”সোনাই রোড থেকে তারাপুর পৌঁছানোর জন্য আমার তিন ঘন্টা সময় লেগেছিল।অফিসে একটি ক্লান্তিকর দিনের পরে এই ধরনের ট্র্যাফিক বেদনাদায়ক।”

অন্য এক তরুণের ফেসবুক পোস্টটি ছিল,” লুঙ্গি ডান্স এবং মা মনশার মধ্যে সংযোগটা কোথায়? মনশা মায়ের বিসর্জনে এত সো অফ কেন?”

ঠাকুরের চিঠিতে বলা হয়েছে যে, প্রতিদিন সন্ধ্যা ৬ টায় বিসর্জন ঘাটের গেটে তালা লাগিয়ে দেওয়া হবে। ডেপুটি কমিশনার এস লক্ষণন আমাদের প্রতিবেদককে এব্যাপারে বলেন, “আমরা এব্যাপারে কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করতে চেয়েছিলাম এবং এটাই আমরা এই পর্যায়ে যথোপযুক্ত বলে মনে করি। আমরা এ বিষয়ে অনেক অভিযোগ পেয়েছি এবং তাই আমরা এই পদক্ষেপটি গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। অপরিকল্পিত মিছিল সবসময়ই সাধারণ মানুষের সমস্যার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই সন্ধ্যা ৬ টার পর যদি মূর্তি বিসর্জনের প্রয়োজন হয় তবে ব্যক্তিগত বা সংগঠনের পক্ষ থেকে অবশ্যই আগে থেকে অনুমতি চাইতে হবে, যাতে প্রয়োজনীয় সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের কাছে পর্যাপ্ত সময় থাকে।”

এটাকে যদি এই মুহূর্তে যথাযথ সিদ্ধান্ত বলে বিবেচনা করা হয় তাহলে কি সঙ্কীর্ণ রাস্তাগুলির কথা ভেবে এবং পূজা প্যাণ্ডেলের সংখ্যা বৃদ্ধির কথা বিবেচনা করে দুর্গা পূজা ও কালী পূজাকেও এক্ষেত্রে অন্তর্ভূক্ত করা উচিত বা এ বিষয়ে নতুন করে ভাবা উচিত? এ প্রশ্ন যেমন অবান্তর নয় তেমনি বলা যায়,এ বিষয়ে বিতর্কের অবকাশ থেকেই যায়।

 

Comments are closed.