শহরের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পৌরসভা, যত্রতত্র আবর্জনা ফেললে জরিমানা
শহরের স্বচ্ছতা বজায় রাখতে কড়া পদক্ষেপ নিচ্ছে পৌরসভা, যত্রতত্র আবর্জনা ফেললে জরিমানা
শিলচর শহরকে প্রদূষণমুক্ত করতে পৌরসভা এবং প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে বেশ কয়েকটি কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে, জানালেন পুরপতি নীহারেন্দ্র নারায়ণ ঠাকুর। যত্রতত্র আবর্জনা ফেললে এবার জরিমানা আদায় করা হবে। গতকাল সংবাদমাধ্যমে এমনটাই জানালেন পুরপতি।
পুরপতি জানান, “গত সপ্তাহে ডেপুটি কমিশনারের সাথে এই বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হয়েছিল, গতকাল বোর্ড মিটিংয়ে এই ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কেউ যদি আবর্জনা শহরের নালা,নর্দমা, খালে বা রাস্তায় ফেলেন তবে তাকে প্রথমে ৫০০ টাকা জরিমানা করা হবে। এই ঘটনার যদি পুনরাবৃত্তি হয় তবে এক হাজার টাকা জরিমানা দিতে হবে।”
পুরপতি আরও জানান, এই কার্যসূচি সফল করে তুলতে কমিশন ভিত্তিতে ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে । যত বেশি সম্ভব ততজন ইন্সপেক্টর নিয়োগ করা হবে, কারণ এটা কমিশন ভিত্তিক। আদায়কৃত জরিমানা থেকে ইন্সপেক্টরদের কমিশন দেওয়া হবে। জরিমানা আদায়ের এই ব্যবস্থা এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর করা হবে।
ইতিমধ্যে আজ শিলচর পৌরসভার তরফ থেকে এক বিজ্ঞপ্তিও প্রকাশ করা হয়েছে । বিজ্ঞপ্তিতে ২০০৫ ইংরেজির বিপর্যয় মোকাবিলা আইনের বিভিন্ন ধারা অনুযায়ী কাছাড় জেলার শিলচর শহরের বিভিন্ন বাজারে এবং অন্যত্র থাকা প্রত্যেক দোকান মালিক, রাস্তার পার্শ্ববর্তী বিক্রেতা, রেস্তোরার মালিক, চায়ের দোকানের মালিক, মিষ্টির দোকানের মালিক তথা পরিচালককে সতর্ক করে জানানো হয়েছে যে, প্রত্যেকটি দোকান/ প্রতিষ্ঠানে আবর্জনা ফেলার পাত্র রাখা বাধ্যতামূলক। শহরের রাস্তা, গলি রাস্তার পাশে ফুটপাতে গৃহ তৈরির সরঞ্জাম ইট বালি পাথর মাটি প্রভৃতি রাখা নিষেধ । শহরের সর্বত্র প্লাস্টিক ব্যাগ বা থার্মকল ব্যবহারও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। শহরের রাস্তায়, গলিপথে, বাজারে গরু বিচরণ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শিলচর ফাটক বাজার এলাকায় সকাল সাতটা থেকে রাত নয়টা পর্যন্ত লরি দাঁড় করানো নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সতর্ক করে বলা হয়েছে, এইসব নিষেধাজ্ঞা অমান্য করলে ২০০৫ ইংরেজির দুর্যোগ মোকাবিলা আইনের ৫১ ধারায় শাস্তি প্রদান করা হবে।
পুরসভার তরফ থেকে এই ধরনের বিজ্ঞপ্তি আগেও প্রচার করা হয়েছিল, তবে নিটফল ছিল প্রায় শূন্য। এখানে উল্লেখ্য, বিধানসভার সদস্যা থাকাকালীন বিথীকা দেব পলিথিন, প্লাস্টিক, থার্মোকলের ব্যবহার কমাতে বিশেষ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। তখন এই সকল ক্ষতিকর পদার্থ ব্যবহার ন্যূনতম মাত্রায় পৌঁছে ছিল, পরবর্তীতে আবার যে কে সেই।
এবারের নতুন বিষয়টা হল জরিমানা আদায়ে ইন্সপেক্টর নিয়োগ। এবারের উদ্যোগ কতটুকু সফল হবে তা ভবিষ্যতই জানাবে। তবে এখন ‘স্বচ্ছতাই সেবা’ কার্যসূচি চালু থাকায় পৌরসভার এই উদ্যোগ রূপায়ণে কিছুটা সহায়তা মিলবে।
Comments are closed.