পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে তৎপরতা তুঙ্গে, বিজেপি-এজিপি জোট নিয়ে সংশয়
আগামী ৫ এবং ৯ই ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে প্রশাসনিক এবং রাজনৈতিক পর্যায়ে তৎপরতা তুঙ্গে উঠছে। বরাক উপত্যকায় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ই ডিসেম্বর। নির্বাচন কমিশন ইতিমধ্যেই নির্বাচন সংক্রান্ত কর্মী নিয়োগের জন্য রাজ্য এবং কেন্দ্রীয় সরকারের বিভিন্ন দপ্তর ব্যাঙ্ক,এলআইসি প্রভৃতি অফিস গুলোতে কর্মী তালিকা প্রেরণের জন্য পত্র পাঠিয়েছে।
এবারের নির্বাচনে সন্তান সংখ্যা, শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি কিছু ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ১৯শে মার্চের পর তিন বা ততোধিক সন্তান থাকলে প্রার্থীরা প্রতিদ্বন্দিতার আসরে নামতে পারবেনা না। মনোনয়নপত্র দাখিলের সময় নির্বাচনপ্রার্থীকে সন্তান সংখ্যা, পাকা শৌচালয়, সম্পত্তির হিসাব এবং শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘোষণা করতে হবে। শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রমান পত্রও মনোনয়ন পত্রের সাথে দাখিল করতে হবে।
ইতিমধ্যে করিমগঞ্জ জেলায় সংরক্ষিত আসনের ঘোষণা করা হয়েছে। ত্রিস্তরীয় এই নির্বাচনে জেলা পরিষদের ২০টি আসনের মধ্যে ৯টি সাধারন মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত, ৮টি আসন অসংরক্ষিত এবং বাকি ৩টি আসন অন অনুসূচিত প্রার্থীর জন্য সংরক্ষিত ঘোষণা করা হয়েছে। গ্রাম পঞ্চায়েত সভাপতি পদের ৯৫ টি আসনের মধ্যে ৪১ টি মহিলা প্রার্থীদের জন্য সংরক্ষিত, ৪০টি আসন অনুসূচিত জাতির জন্য সংরক্ষিত এবং বাকি ১৪টি আসন সাধারণ প্রার্থীদের জন্য থাকছে।
এদিকে, কংগ্রেস এবং অগপ দল ‘ এই পঞ্চায়েত নির্বাচনে একলা চলো’ নীতি অনুসরণ করবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে বিজেপি নেতৃবৃন্দ এজিপির সাথে আসন সমঝোতা নিয়ে রাজ্য পর্যায়ে কোনো সিদ্ধান্ত না নিয়ে সমষ্টি ভিত্তিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে। জেলা কমিটিগুলোকে এই ব্যাপারে ক্ষমতা প্রদান করা হয়েছে।
মনোনয়নপত্র পেশ করার আগেই বরাক উপত্যকার বিভিন্ন প্রত্যাশী প্রার্থী গ্রামেগঞ্জে এবং সামাজিক মাধ্যম ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপে ইতিমধ্যেই প্রচার শুরু করে দিয়েছেন। প্রাকৃতিক আবহাওয়া আস্তে আস্তে শীতল হলেও নির্বাচনী আবহাওয়া উত্তপ্ত হতে চলেছে।
Comments are closed.