বহু বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে থাকা গৌতম গুপ্ত সহ শতাধিক কংগ্রেস, এআইইউডিএফ কর্মীকে বিজেপিতে বরণ করলেন কবীন্দ্র
এপিসিসি সম্পাদক গৌতম গুপ্ত সহ শতাধিক কংগ্রেস ইউডিএফ কর্মীকে গেরুয়া দলে বরণ করে পঞ্চায়েত দখলের ডাক দিলেন বর্ষিয়ান বিজেপি নেতা কবীন্দ্র পুরকায়স্থ । বুধবার হাইলাকান্দির লালামুখ চা বাগান নাচঘরে জেলা বিজেপি সভাপতি সুব্রত নাথের পৌরোহিত্যে আয়োজিত এক সভায় বিভিন্ন দল থেকে আসা কর্মীদের বরণ করে এ আহবান জানান তিনি ।
এদিন বিজেপি দলে অন্যান্যদের মধ্যে প্রাক্তন এপিসিসি সদস্য তথা প্রাক্তন মন্ত্রী গৌতম রায়ের ব্যক্তিগত সচিব গৌতম গুপ্ত, গাঙপার ধূমকর জিপির এআইইউডিএফের প্রাক্তন সভাপতি নেকিবুজ্জামান চৌধুরী, কংগ্রেসের প্রাক্তন এপি সদস্য বাপ্পি সিংহ,অবসরপ্রাপ্ত বিএসএনএল কর্মী আব্দুল্লা চোধুরী সহ বিভিন্ন জিপির ও ব্লক স্তরের নেতারা যোগদান করেন।গৌতম গুপ্তকে এদিন বিজেপির টুপি ও দলীয় উত্তরীয় পড়িয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে দলে বরণ করে নেন বরিষ্ঠ বিজেপি নেতা কবীন্দ্র পূরকায়স্থ।গৌতম গুপ্তের নেতৃত্বে প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থক এদিন গেরুয়া শিবিরে নাম লেখান।
সভায় বিজেপির উত্তর করিমগঞ্জের প্রাক্তন বিধায়ক তথা এআইডিসি-র চেয়ারম্যান মিশন রঞ্জন দাস তাঁর ভাষনে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত দখলের ডাক দিয়ে বলেন, পঞ্চায়েত নির্বাচনের তিন মাস পরই রয়েছে লোক সভা নির্বাচন। এবার আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে করিমগঞ্জ লোকসভা আসন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে উপহার হিসেবে তুলে দেওয়ার লক্ষ্য নিয়ে দলীয় কর্মীদের কাজ করার আহ্বান জানান তিনি। তিনি আরও বলেন, লোকসভা ভোটের পূর্বে পঞ্চায়েত নির্বাচন হচ্ছে সেমি ফাইনাল লড়াই। এটা জয় করতে পারলে লোকসভা ভোটে জয় আরও বড় ভাবে হওয়াটা নিশ্চিত হয়ে যাবে। এর জন্য দলীয় কর্মীদের সর্ব শক্তি নিয়ে মাঠে নামার আহ্বান জানান তিনি ।
প্রধান অতিথির ভাষণে এদিন কবীন্দ্র পুরকায়স্থ প্রথমেই নতুন দলে যোগদানকারীদের অভিনন্দন জানিয়ে দলের ইতিহাস তুলে ধরেন।কী ভাবে জনসংঘ থেকে ১৯৮০ সালে প্রয়াত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারীর নেতৃত্বে ভারতীয় জনতা পার্টির জন্ম হয়, সে নিয়ে বিস্তারিত ইতিহাস তুলে ধরে বলেন উত্তর পূর্বাঞ্চলের প্রথম বিজেপির জেলা কমিটি কাছাড় জেলায় গঠন করা হয়েছিল।শত শত কর্মী সমর্থকদের নিরন্তর প্রয়াসে আজ বিজেপি একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করেছে।দলের সেই আদর্শকে সবাইকে মেনে চলতে হবে।বিজেপির কর্মী সমর্থকরা সঠিক ভাবে কাজ করে গেলে দলের এই সাফল্য আগামীদিনে অব্যাহত থাকবে বলে মত ব্যক্ত করেন তিনি।হাইলাকান্দিতে বিজেপির কোনও বিধায়ক নেই একথাও শোনান তিনি।তাই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে নতুনদের সঙ্গে নিয়ে দলীয় নেতাদের কাজ করার পরামর্শ দেন তিনি।কবীন্দ্র পুরকায়স্থ আরও বলেন, বিজেপি জাতপাত নিয়ে রাজনীতি করে না। যারা দেশকে ভালোবাসে তাদের নিয়ে এই দল অসাধ্য সাধন করে ।
বিজেপির সাংগঠনিক সম্পাদক নিত্যভূষণ দে বলেন, তেরো কোটি সদস্য নিয়ে বিজেপি এখন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দল।বর্তমানে ২১ টি রাজ্যে বিজেপি শাসন করছে।এবার আসামের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির জয়জয়কার অব্যাহত থাকবে।বিজেপিতে যোগদান করে প্রাক্তন এপিসিসি সদস্য গৌতম গুপ্ত বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপির আদর্শ মেনে কাজ করার অঙ্গীকার করেন।অন্যান্য নতুন সদস্যদের এদিন দলে একে একে বরণ করে নেন বিজেপি নেতারা।
এদিনের অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিজেপির চা মোর্চার জেলা সভাপতি কিরণ তেলি,টি ওয়েলফেয়ার বোর্ডের সভাপতি রাধেশ্যাম কৈরি, মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অনামিকা আচার্য, মাইনোরিটি সেলের জেলা সভাপতি ইকবাল হোসেন, রাজকুমার দাস,চিন্ময় নাথ, লালা টাউন কমটির চেয়ারম্যান পুলক নাথ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন ।
Comments are closed.