Also read in

এনআরসি তে নাম তোলার দাবি জানানোর সময়সীমা আরও দুমাস বাড়ানোর দাবি তুলল সিআরপিসি

 

এনআরসি’তে নাম তোলার দাবি জানানোর আবেদনের সময়সীমা আরও দুমাস বাড়ানোর দাবি তুলল নাগরিক অধিকার রক্ষা সমন্বয় কমিটি সংক্ষেপে সিআরপিসি। সময়সীমা বাড়ানোর দাবি জানিয়ে এনআরসির রাজ্য সমন্বয়ক প্রতীক হাজেলার উদ্দেশ্যে শনিবার একটি স্মারকপত্র পেশ করেছেন সিআরপিসি সদস্যরা। একই সঙ্গে এদিন বিকেলে শিলচরে এক সাংবাদিক বৈঠক ডেকে এনআরসি ছুট অর্থাৎ খসড়ায় নাম না ওঠা সর্বস্তরের মানুষকে তারা আহ্বান জানিয়েছেন, যার কাছে যেরকম নথি রয়েছে তা দিয়েই নাম তোলার দাবির আবেদন পত্র পূরণ করে জমা দেওয়ার জন্য এনআরসি সেবাকেন্দ্রে। তবে সুপ্রিম কোর্টের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ১৫ ডিসেম্বর শেষ হচ্ছে দাবির আবেদনপত্র জমা দেওয়ার সময়সীমা।

 

তথ্য দিয়ে সিআরপিসিসি’র সাধারণ সম্পাদক কিশোর ভট্টাচার্য বলেন, ৪০ লক্ষ খসড়া ছুটের মধ্যে রাজ্যে দাবি জানানোর আবেদন জমা পড়েছে মাত্র ৮ লক্ষ। বরাক উপত্যকায় যে চার লক্ষ লোকের নাম বাদ পড়েছে এর মধ্যে দাবির আবেদন জানিয়েছেন মাত্র ৯৭ হাজার। ফলে বাস্তব চিত্র খুব করুণ। তিনি আরও বলেছেন, দাবির আবেদন যত কম জমা পড়বে ততই বাকিরা সঙ্গে সঙ্গে বিদেশি বলে গণ্য হবেন। এমনটা যাতে না হয় তাই সবাই আবেদন করে রাখার আহ্বান জানান। কিশোর ভট্টাচার্য সঙ্গে বলেন খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে বরাকের বিভিন্ন এনআরসি সেবাকেন্দ্রে কর্তব্যরত ব্যক্তিরা নাগরিকদের দাবির আবেদনপত্র জমা নিচ্ছেন না নানা অযুহাতে। এটা সম্পূর্ণ বেআইনি এবং অগণতান্ত্রিক। এনআরসি’র কাজে কর্তব্যরত ব্যক্তির কোন ক্ষমতা বা এক্তিয়ার নেই দাবির ফর্ম জমা না রাখার। যে নথি দিয়েই মানুষ ফর্ম জমা করুক তা অবশ্যই গ্রহণ করতে হবে।

 

সংগঠনের তরফে সুব্রত নাথ বলেন, যেহেতু পঞ্চায়েত নির্বাচনের কাজে এনআরসির সঙ্গে যুক্ত আধিকারিক কর্মীদের নিয়ে যাওয়া হয়েছে তাই বিভিন্ন এনএসকে’তে থমকে গেছে এনআরসির কাজ। এই কারণেই সরকার ও এনআরসি কর্তৃপক্ষের উচিত দাবির আবেদন জানানোর সময়সীমা আরো বাড়ানোর। তিনি বলেছেন, এনআরসি ছুটরা এখন হাতে যে নথি রয়েছে তা দিয়ে যদি নাম তোলার দাবির আবেদন জানিয়ে না রাখেন তাহলে প্রমাণ হয়ে যাবে তারা এনআরসি তে নাম তোলার যোগ্য নন। আর দাবির আবেদন জানিয়ে রাখলে নথির ভিত্তিতে ভবিষ্যতে তাদের জন্য আইনি পথ খোলা থাকবে।

 

কিশোর ভট্টাচার্য এদিন বলেছেন, স্মারকপত্রে দাবি জানানো হয়েছে এনআরসি কর্তৃপক্ষকে মুসলিম নাগরিকদের ক্ষেত্রে বেসরকারি কাজীদের দেওয়া বিয়ের প্রমাণপত্র অর্থাৎ মেরেজ সার্টিফিকেট মানতে হবে। বৈধ নথি হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে বেসরকারি কাজীদের দেওয়া মেরেজ সার্টিফিকেটকে। অধ্যাপক তপোধীর ভট্টাচার্য বলেন, এনআরসির কোনও রি-ভেরিফিকেশন আমরা মানবো না। কর্তৃপক্ষকে এই সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।

 

এনএসকেগুলোতে অমানবিকভাবে যে নাগরিক হেনস্থা চলছে তা বন্ধ করতে হবে। এছাড়া এনআরসিতে আপত্তি জানানোর জন্য শাসক দলের নেতারা যেভাবে উস্কানিমূলক বক্তব্য রাখছেন বিভিন্ন সভা-সমিতিতে এর তীব্র নিন্দা জানান সিআরপিসি সদস্যরা। তাদের সাফ কথা, এভাবে বক্তব্য রাখলে মানুষের ঐক্যে ফাটল ধরবে। সাংবাদিক সম্মেলনে সাধন পুরকায়স্থও উপস্থিত ছিলেন।

Comments are closed.