
অ্যাক্ট ইস্ট: অসম- বাংলাদেশ উন্নয়নে সম্পর্ক যাত্রীরা আজ শিলচরে
মোদি সরকারের অ্যাক্ট ইস্ট নীতি রূপায়নে প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়ন ঘটিয়ে আর্থিক বিকাশের সম্ভাবনা খুলে দিতে অসমের শিল্প ও বানিজ্য মন্ত্রীর চন্দ্রমোহন পাটোয়ারীর নেতৃত্বে ১৪জন বিধায়ক ও ১২জন উচ্চস্তরীয় আধিকারিক সম্পর্ক যাত্রা কর্মসূচির অধীনে বাংলাদেশ সফর শেষ করে এবার ভারতে আসছেন। বুধবার মেঘালয়ের ডাউকি সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে পৌঁছায় এই প্রতিনিধি দল। সফরকালে সে দেশের সরকারি-বেসরকারি পর্যায়ে সহযোগিতার ক্ষেত্র গুলি চিহ্নিত করতে অসমের নেতারা বৈঠক করেছেন।
সিলেট চেম্বার অফ কমার্সের উদ্যোগে হোটেল স্টার প্যাসিফিকে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় জল ও স্থলপথের উন্নয়ন ঘটিয়ে অসমের সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধি করে বিনিয়োগের ক্ষেত্র প্রসারিত করার বিষয়ে সহমত পোষণ করা হয়। এই বৈঠকে পৌরহিত্য করেন সিলেট চেম্বার অব কমার্সের চেয়ারম্যান আসাদ উদ্দিন আহমেদ। বৈঠকে আসাদ উদ্দিন বলেন, ডাউকি শুল্ক স্টেশনকে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দরে রূপান্তরিত করা হলেও বিপরীত দিকে ভারতীয় স্টেশনের আধুনিকীকরণ হয়নি। তিনি ভারতেও ডাউকিতে পূর্ণাঙ্গ স্থলবন্দর স্থাপনের অনুরোধ জানান।
বৈঠকে মন্ত্রী চন্দ্রমোহন বলেন, সিলেটে যেমন বিনিয়োগের সম্ভাবনা রয়েছে তেমনি অসমেও বিনিয়োগের উপযুক্ত ক্ষেত্র রয়েছে। সম্পর্ক যাত্রার নতুন উদ্যমকে কাজে লাগিয়ে দুটি অঞ্চল আবার ব্যবসা-বাণিজ্য, শিক্ষা, চিকিৎসা ও পর্যটন খাতে পারস্পরিক বিনিময়ের মাধ্যমে কাজ করে যাবে। আগামী ১ জুলাই থেকে গুয়াহাটি-ঢাকা স্পাইস জেট এয়ারওয়েজের ফ্লাইট চালুর মাধ্যমে আকাশ পথে যোগাযোগ স্থাপিত হবে। এর ফলে ব্যবসায়ীরা যেমন লাভবান হবেন তেমনি পর্যটন এবং বিভিন্ন ক্ষেত্রে যোগাযোগ সহজ হবে।
আজ সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছেন তারা। দুপুর দুটো নাগাদ তারা শিলচরের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন বিকেল চারটায় শিলচর চেম্বার অফ কমার্স এবং পরিবহন সংগঠনগুলির কর্মকর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে মিলিত হওয়ার কথা রয়েছে তাদের। তারপর দলটি মায়ানমারের উদ্দেশ্যে রওনা হবে।
অসমের প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিধায়ক দিলীপ কুমার পাল, আমিনুল হক লস্কর, জয়রাম, দীপক কুমার রাভা, সুমন হরিপ্রিয়া, মৃণাল শইকীয়া, কুশল দোয়ারী, দেবানন্দ হাজারিকা, রনজ পেগু। সরকারি আধিকারিকদের মধ্যে রয়েছেন অবিনাশ পুরুষোত্তম, এস এস মিনাক্ষিসুন্দরাম, এম এ মান্নান, রুবি শর্মা ধ্রুবজ্যোতি দাস, নাজনীন আহমেদ, দেব কুমার মিশ্র, রনজিত মজুমদার প্রমূখ।
‘সম্পর্ক যাত্রায়’ সম্পর্ক উন্নয়নের পাশাপাশি দুই দেশের বাণিজ্য এবং যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি ঘটবে এমনটা আশা করা যেতেই পারে।
Comments are closed.