ধনেহারি এলপি স্কুল থেকে আমিনুল হক লস্করকে উদ্ধার করলেন এডিজিপি এস এন সিং, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে
সোনাইয়ের ধনেহারী এলাকায় প্রায় পাঁচ ঘণ্টা ধরে প্রচন্ড উত্তেজনার পর পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আসাম পুলিশের এডিজিপি এস এন সিং, কাছাড়ের এসপি ভানোয়ার লাল মিনা পুলিশ বাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছান এবং উদ্ধার করেন আমিনুল হক লস্করকে।
প্রথমে প্রিসাইডিং অফিসার এবং পোলিং অফিসারদের ভোট কেন্দ্র থেকে উদ্ধার করা হয়। উত্তেজিত স্থানীয়রা তাদের প্রচেষ্টার জন্য হাততালি দেন। এটি প্রশংসনীয় যে হাজার উত্তেজিত স্থানীয় আন্দোলনকারীদের মধ্যে থেকে কোন ক্ষয়ক্ষতি ছাড়াই পুলিশ তাদেরকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। স্থানীয়রা পুলিশকে সহযোগিতা করেছিল।
তবে আসামের ডেপুটি স্পিকারকে যখন ধনেহারি স্কুল থেকে থেকে উদ্ধার করা হয় তখন পরিস্থিতি তীব্র উত্তেজনাপূর্ণ ছিল।
উদ্ধার অভিযান সফল ভাবে পরিচালনার পর এস এন সিং জানান যে দুজন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়েছেন। একজনের মুখে গুলি লেগেছে এবং অন্য জন আহত হয়েছেন। একজন কনস্টেবলের মুখেও গুরুতরভাবে আঘাত লেগেছে বলে জানিয়েছেন সিং।
তিনি আরও যোগ করেন, এখানে ভোট কেন্দ্রে যা ঘটেছিল তা নিয়ে অনেক ধরনের ব্যাখ্যা থাকতে পারে। তবে বিষয়টি পুরোপুরি তদন্ত করা হবে এবং তারপরই আসলে কি ঘটেছে তা জানতে পারব আমরা।
যদিও সিং বলেছেন যে তিনজন আহত হয়েছেন, তবে স্থানীয়দের বক্তব্য আলাদা। “চার জন স্থানীয় ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়েছেন এবং একজন ঘটনাস্থলেই মারা যান। আমিনুল হক লস্কর নিজেই স্থানীয় ভোটারদের লক্ষ্য করে গুলি চালান। আমরা ন্যায় বিচারের দাবি করি। আমরা তাৎক্ষনিক তদন্তেরও দাবি করছি”, একজন স্থানীয় বাসিন্দা বলেছেন।
Comments are closed.