Also read in

প্লাবন বণিকের পর বরাক নদী থেকে এবার জয় বণিকের মৃতদেহ উদ্ধার

 

প্লাবন বণিকের পর এবার জয় বণিকের মৃতদেহ বরাক নদীতে ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করল পুলিশ। বিকেল পৌনে পাঁচটার সময় শিলচর এবং মাছিমপুরের মধ্যবর্তী মজুমদার বাজারের কাছে নদীতে একটি মৃতদেহ ভাসতে দেখেন স্থানীয়রা। সঙ্গে সঙ্গে তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটি উদ্ধার করে। এখানে উল্লেখ করা যেতে পারে, সকালে তারাপুর এলাকায় বরাক নদী থেকে প্লাবন বণিকের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছিল।

জয় বণিকের বোন মৃত ব্যক্তিকে তার ভাই জয় বনিক হিসেবে চিহ্নিত করে কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন, জানালেন এই ঘটনার নিখোঁজ মামলার তদন্তকারী পুলিশ কর্মকর্তা।

এদিকে পুলিশ সুপার মুগ্ধ জ্যোতি দেব মহন্ত জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে একটি মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়েছে। তাছাড়া সদরঘাট সেতুর পাশে থাকা স্কুটারটি শিলচর মেহেরপুরে অবস্থিত পুষ্প বিহার লেনের বাসিন্দা টুম্পা বণিকের নামে নথিভুক্ত করা রয়েছে বলে পুলিশ সুপার উল্লেখ করেন। পরে টুম্পা বণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্কুটারটি তার নিজের এবং উদ্ধার হওয়া মোবাইল ফোনটি তার ভাই জয় বণিকের বলে জানান। এদিকে পরের দিনই পরিবারের পক্ষ থেকে শিলচর সদর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয় যে জয় বণিকের ভাগ্নেও নিখোঁজ রয়েছেন।

এই মামলার তদন্তকারী পুলিশ আধিকারিক নিশ্চিত করে জানান, “আজ নিখোঁজ দুজনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে এবং ময়নাতদন্তের পর পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।”

এখানে উল্লেখ করা প্রয়োজন, গত ২৬ নভেম্বর রাত প্রায় নটায় এক টেক্সি চালক জানিয়েছিলেন যে তিনি একটি স্কুটার পার্ক করে পুরনো সেতুর উপর থেকে এক ব্যক্তিকে ঝাঁপিয়ে পড়তে দেখেছিলেন। ঘটনাটির সম্পর্কে সঙ্গে সঙ্গে পুলিশে খবর পাঠালে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় এবং এসডিআরএফ ব্যক্তিটিকে উদ্ধারের জন্য তল্লাশি অভিযান শুরু করে।

এই অবস্থায় দুজনই সেতু থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন কিনা কিংবা এর পেছনে অন্য কোন বিরাট রহস্য লুকিয়ে আছে কিনা তা এই মুহূর্তে স্পষ্ট করে বোঝা যাচ্ছে না। তবে পুলিশি তদন্ত চলছে। তদন্ত চলাকালীন কোন মন্তব্য করতে রাজি নন পুলিশ আধিকারিকরা।

Comments are closed.

error: Content is protected !!