
বিমান এবং ট্রেনযাত্রীদের টিকেটকেই পাস হিসেবে ধরা হবে, যাত্রা বাতিলের প্রয়োজন নেই, জানালেন কীর্তি জাল্লি
রবিবার রাতে কাছাড় জেলায় নয় দিনের লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন জেলাশাসক কীর্তি জাল্লি। এর বিস্তারিত নিয়মাবলীও তুলে ধরেছিলেন তিনি। বিভিন্ন পরীক্ষার্থী যাত্রী সহ অনেকেই তাদের সমস্যার কথা বিভিন্ন মাধ্যমে তুলে ধরছেন। এবার তিনি জানিয়েছেন, বিমানে এবং ট্রেনে যারা জেলায় ফিরবেন, লকডাউনে তাদের টিকেটকেই পাস হিসেবে গণ্য করা হবে। লকডাউনের জন্য কাউকে টিকেট ক্যানসেল করতে হবে না।
ট্রেনের ক্ষেত্রে বদরপুর এবং বিমানের ক্ষেত্রে কুম্ভিরগ্রাম বিমানবন্দর আপাতত যাত্রীদের গন্তব্য।
যারা বাড়ি থেকে এয়ারপোর্ট বা রেলস্টেশনের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবেন তাদের পৌঁছে দিতে যে চালক যাবেন তিনিও সেই টিকিটের একটা কপি সঙ্গে রাখবেন। ফিরে আসার সময় সেই কপি তার কাছে পাস হিসেবে কাজ করবে।
জানানো হয়েছে, তবে যদি বিমানযাত্রার সময় থেকে অনেক আগে কোন যাত্রী বেরিয়ে পড়েন সে ক্ষেত্রে চালকের ওপর দায়িত্ব থাকবে সময়মত পৌছে দিয়ে ফিরে আসার। টিকিট দেখিয়ে অকারণে ঘোরাফেরা করলে চালকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া কেউ যদি পুরনো টিকিট দেখিয়ে যাত্রা করার চেষ্টা করেন তাহলে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন।
জেলাশাসক তার নির্দেশে বলেছিলেন, আক্রান্ত ব্যক্তি এবং মৃত্যুর সংখ্যা অত্যধিক বৃদ্ধি পাওয়ায় আপাতত লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। জেলায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসা যতটুকু ক্ষমতা ছিল সেটাও প্রায় ফিরে ফুরিয়ে আসছে। এক্ষেত্রে গোষ্ঠী সংক্রমণ রোধ করতে না পারলে পরিস্থিতি পুরোপুরি নাগালের বাইরে চলে যেতে পারে। সাধারণ মানুষ যদি দশ দিন ঘরে থাকেন তাহলে হয়তো এর কিছুটা প্রভাব সংক্রমণ ক্ষেত্রে পড়বে। অত্যাবশ্যকীয় কাজ ছাড়া কোনও ব্যক্তি এই সময় বেরোতে পারবেন না বলেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছাড় দেওয়া হচ্ছে, যেটা নিয়মাবলীর তালিকায় রয়েছে।
Comments are closed.