
৪দিনের সফরে বরাকে এলেন অখণ্ড সংঘপ্রধান শ্রীশ্রী তপন ব্রহ্মচারী
চারদিনের সফর সূচি নিয়ে সোমবার শিলচরে পদার্পণ করেন অখণ্ড সংঘপ্রধান শ্রী শ্রী তপন ব্রহ্মচারী-জি। এদিন দুপুরে বিমানবন্দরে অবতরণ করার পর ভক্তরা সীমিত শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাকে শিলচরের রাধামাধব রোডে অযাচক আশ্রমে নিয়ে আসেন। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় হাইলাকান্দি কাটলিছড়া উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। সেখানে একটি শুভযাত্রা রয়েছে, তার অন্যতম আকর্ষণ হবেন রিয়াং জনগোষ্ঠীর ভক্তরা। তারা নিজেদের পরম্পরিক পোশাকে শোভাযাত্রার অংশ নেবেন, যা হতে চলেছে এক অপূর্ব দৃশ্য।
শিলচর অযাচক আশ্রমের সম্পাদক মান্না দেব জানিয়েছেন, চার দিনের সফরসূচিতে রয়েছে দীক্ষাদান, মন্দির উদ্বোধন, শোভাযাত্রা এবং ভক্তদের দর্শন দান ইত্যাদি। এছাড়া বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংগঠনিক বৈঠকেও অংশ নেবেন শ্রীশ্রী তপন ব্রহ্মচারী জি। তিনি বলেন, “মঙ্গলবার সকালে কাটলীছড়ার উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন শ্রীশ্রী দাদামণি। শিলচর থেকে সুসজ্জিত গাড়িতে রওনা দেবেন তিনি এবং তার সঙ্গে যোগ দেবেন বিভিন্ন ভক্তরা। সেখানে অজিত পালের বাড়িতে থাকবেন তিনি। বুধবার ১৪ এপ্রিল সকালে কাটলীছড়ায় রয়েছে দীক্ষাদান অনুষ্ঠান।
সকাল ৯টায় শুরু হবে দীক্ষাদান প্রক্রিয়া এবং এর জন্য প্রয়োজনীয় নাম লেখানো সহ অন্যান্য আয়োজন ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গেছে। দীক্ষাদান শেষ হওয়ার পর ব্যাকুল দর্শনার্থীদের দর্শন দেবেন শ্রীশ্রী দাদামণি। বিকেলে এক শোভাযাত্রার মাধ্যমে হাইলাকান্দির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। রাতে হাইলাকান্দিতে থাকবেন এবং পরের দিন অর্থাৎ ১লা বৈশাখ সকালে ছয়টায় নবনির্মিত উপাসনা মন্দির উদঘাটন করবেন শ্রীশ্রী তপন ব্রহ্মচারী। সকাল আটটায় সেখানে রয়েছে সমবেত উপাসনা। এরপর হরিওঁ কীর্তন এবং নগর পরিক্রমা অনুষ্ঠান সেরে শিলচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেবেন তিনি। বিকেলে শিলচর অযাচক আশ্রম ভক্তদের দর্শন দান করবেন। ১৬ এপ্রিল সকালে বিমানে কলকাতা ফিরে যাবেন তিনি।”
বহুবছর পর অখন্ড সংঘপ্রধান নববর্ষে শিলচরে অবস্থান করছেন, এটা নিয়ে ভক্তদের মনে অত্যন্ত উৎসাহ দেখা দিয়েছে। সাধারণত শ্রীশ্রী স্বামী স্বরূপানন্দ পরমহংসদেবের ভক্তদের আয়োজিত এধরণের অনুষ্ঠানে অত্যন্ত সুশৃংখল পরিবেশ চোখে পড়ে। অত্যন্ত সুন্দর হরিওঁ কীর্তন এবং স্বরূপানন্দ সংগীতের মাধ্যমে অনেকে অনুষ্ঠানকে আরও সুন্দর করে তোলেন। তবে যেহেতু করোনা পরিস্থিতি রয়েছে, প্রত্যেক অনুষ্ঠানে থাকবে অত্যন্ত কঠোর প্রটোকল। সোমবার যখন তিনি শিলচরে আসেন, তার শোভাযাত্রায় এই দৃশ্য চোখে পড়েছে। প্রত্যেকে মাস্ক পড়ছেন, স্যানিটাইজার ব্যবহার করছেন এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছেন। দীক্ষাদান হোক বা শোভাযাত্রা অথবা দর্শন দান অনুষ্ঠান, প্রত্যেক ক্ষেত্রে এই বিষয়গুলো কঠোরভাবে পালন করা হবে, এমনটাই নির্দেশ রয়েছে শ্রী শ্রী তপন ব্রহ্মচারীর।
Comments are closed.