Also read in

মদে আসক্ত ব্যক্তিকে বেঁধে রাখলো স্ত্রী ও ভাইপো, তারপর মৃত্যু; লাশ উদ্ধার করল তারাপুর থানার পুলিশ , আটক দুজনই

তারাপুর শিববাড়ি রোডের সুকান্ত লেনে এক অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় হতবাক এলাকাবাসী। ৫০ বছর বয়সী মুন্না দাস নামে এক ব্যক্তিকে তার নিজ বাড়িতে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। স্থানীয়রা বিষয়টি পুলিশকে জানালে তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির একটি দল ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।

ঐ এলাকার স্থানীয়রা জানান, মুন্না দাস একজন মদ্যপায়ী ছিলেন, তবে তিনি প্রতিবেশীদের বিরক্ত করতেন না। “মদ্যপান করার পর, তিনি তার বাড়িতে গিয়ে ঘুমাতেন। সম্প্রতি তার বড় ভাই বাবলু দাস এখানে এসে উনার পরিবার নিয়ে বসবাস শুরু করেন। গতকাল, যখন মুন্না দাস বাড়িতে পৌঁছে ন এক বাক বিতন্ডায় জড়িয়ে পড়ে, তখন তার স্ত্রী মমতা দাস এবং তার ভাইপো অর্থাৎ বাবলু দাসের ছেলে তার হাত ও মুখ বেঁধে তাকে বাড়ির এক কোণে ফেলে দেয়,” স্থানীয় একজন বলেন।

ওই ব্যক্তি আরো জানান, “সকালে, আমরা – স্থানীয় কয়েকজন তার বাড়িতে গিয়েছিলাম এবং না দশকে বাঁধন মুক্ত করার জন্য তার স্ত্রীকে অনুরোধ করেছিলাম। কিন্তু ঐ মহিলা আমাদের অনুরোধের উত্তরে বলেন, “মরলে মরে যাক, খুলে দিও না ওকে, বাবলু দাস রেগে যাবে। এটি তাদের পারিবারিক বিষয় ছিল এবং তাই আমরা আর কিছু বলতে পারিনি এবং আমরা তাদের বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসি।”

ঘণ্টা দুয়েক পর তারা জানতে পারেন মুন্না দাস মারা গেছেন। “আমরা সবাই আবার তার বাড়িতে ছুটে গেলাম এবং দেখলাম সে একই জায়গায় মারা গেছে; আমরা তাকে বাঁধা অবস্থায়ই দেখেছি। তখন আমরা তাকে মুক্ত করে পুলিশে খবর দেই। এটি একটি ঠান্ডা মাথার হত্যাকাণ্ড ছাড়া কিছুই নয়,” স্থানীয় বাসিন্দা জোর দিয়ে বলছিলেন।

তারাপুর পুলিশ ফাঁড়ির আইসি জানিয়েছেন, মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য শিলচর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। একই সঙ্গে পরিবারের সদস্যদেরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।

Comments are closed.