Also read in

কাজ না করেই তুলে নেওয়া হয় প্রায় দু’কোটি, অভিযোগ পঞ্চায়েত সদস্যের বিরুদ্ধে

কাছাড়ের শালচাপড়া আঞ্চলিক পঞ্চায়েতে এক বড়সড় দুর্নীতির অভিযোগ প্রকাশ্যে এল। সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক পঞ্চায়েত সদস্য রেশমিন সুলতানার বিরুদ্ধে অভিযোগ, শ্রীকোণা গাওঁ পঞ্চায়েতে এনরেগার তেত্রিশটি প্রকল্পের কাজ সম্পূর্ণ দেখিয়ে তিনি তুলে নিয়েছেন প্রায় দু’কোটি টাকা। অথচ বাস্তবে নামেমাত্র কাজই হয়েছে!

ভিলেজ ডেভেলপমেন্ট সোসাইটি নামের স্থানীয় একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের দাবি, সব প্রকল্প মিলিয়ে মোট ১,৮৬, ৬১,৭৫৮ টাকা তোলা হয়েছে। যদিও কাজ হয়েছে কেবল ১৮ লক্ষের!
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনটির কর্তা জুলফিকার আহমদ বড়ভূঁইয়া, সাদ্দাম হোসেন লস্করদের অভিযোগ, রেশমিন সুলতানা তাঁর পিতা জামাল উদ্দিন বড়ভূঁইয়া এবং দুই ভাই দুলদুল হোসেন বড়ভূইয়া ও আজমল হোসেন বড়ভূঁইয়া মিলে ব্যাপক হারে অনিয়ম করেছেন। জুলফিকারদের দাবি, সড়ক-বাঁধ ইত্যাদির কাজ দেখিয়ে প্রচুর অর্থ তুলে নিলেও সরেজমিনে দেখলেই কাজে ফাঁকি দেওয়ার বিষয়টি ধরা পড়েছে।

যৎসামান্য যে কাজ হয়েছে তাতেও নির্দেশিকা না মানার অভিযোগ উঠেছে। এমনকী জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্ট থেকে অর্থ তুলে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রেশমিন সুলতানাদের বিরুদ্ধে। জুলফিকার আহমদরা বলেন, জবকার্ড ও পাসবুক নিজেদের কাছে রেখে দিয়েছিলেন রেশমিন সুলতানারা। জবকার্ডধারীদের চার-পাঁচশো টাকা দিয়ে বাকি অর্থ হাপিশ করেছেন রেশমিন ও তাঁর পরিবারের লোকেরা। এভাবে তাঁরা বর্তমানে প্রচুর সম্পত্তির মালিক হয়ে পড়েছেন। স্থানে স্থানে রয়েছে বহুতল ভবন ও মূল্যবান জমি। এজন্য জবকার্ডধারী কয়েকজন মঙ্গলবার শিলচর সদর থানায় এজাহার দায়ের করেছেন।

এদিকে রেশমিন সুলতানার পিতা জামাল উদ্দিন সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁর দাবি, ওই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের কর্তারা তাঁর মেয়ের কাছে অর্থ চেয়েছিলেন। রেশমিন তা দিতে অস্বীকার করায় এখন অপপ্রচার চালাচ্ছেন। তিনি বলেন, পঞ্চায়েতের কাজের আর্থিক বিষয়ে সরকারি কর্মীরাও থাকেন। ফলে অর্থ লোপাট করার কোনও সম্ভাবনাই নেই। জামাল উদ্দিনের কথায়, দুর্নীতি নিয়ে তদন্ত হলে তাঁদের কোনও আপত্তি নেই। গোটা ঘটনায় পুলিশ এখনও মুখ খোলেনি। তবে পুলিশের এক সূত্র জানায়, বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Comments are closed.

error: Content is protected !!