ছাত্রীর সঙ্গে অশালীনতা করায় উত্তম-মধ্যম খেলেন দাসকলোনির দুই যুবক
শনিবার সন্ধ্যেবেলা দাসকলোনির এক ছাত্রী বাড়ি ফিরছিলেন, চার যুবক একই স্কুটিতে করে পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন। এলাকায় আলোর অভাব ছিল, তাই সুযোগ বুঝে তারা ছাত্রীটির শরীরের একটি বিশেষ অঙ্গে হাত দেন এবং বাজে মন্তব্য করে বেরিয়ে যান। এটা চোখে পড়ে পাশের এক যুবকের, সে দৌড়ে গিয়ে তাদের আটকায়। তবে চারজনের সঙ্গে একা পেরে উঠছিল না, তবুও সাহস দেখিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গর্জে উঠে যুবকটি। তার আওয়াজ শুনে এলাকাবাসীরা জড়ো হন। এরই মধ্যে দুজন পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়, কিন্তু বাকি দু’জনকে আটক করে উত্তম-মধ্যম দেওয়া হয়। তারপর তাদের আটকে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসে তাদের তুলে নিয়ে যায়।
দাস কলোনি এলাকায় অনেক শিক্ষক রয়েছেন যেখানে ছাত্রছাত্রীরা পড়তে আসে এবং সন্ধ্যেবেলা তাদের ক্লাস শেষে বাড়ি ফিরে। তবে এলাকায় বেশ কিছু গোপন আড্ডা রয়েছে যেখানে অবৈধভাবে নেশা দ্রব্য বিক্রি হয় বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ দীর্ঘদিনের। সন্ধ্যেবেলা সেই নেশাখোর যুবকরা অতীতেও মহিলাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। শনিবার সন্ধ্যেবেলা একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি হয়েছে।
তবে এলাকার মানুষ এখন অনেক বেশি সচেতন, তারা অশালীন কাজ করা সেই যুবক দুটিকে পাকড়াও করে উত্তম-মধ্যম দিয়েছেন, এতে একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।
রাঙ্গিরখাড়ি থানার তরফে জানানো হয়েছে, এলাকাবাসীর অভিযোগের উপর ভিত্তি করে যুবকদের আটক করা হয়েছে। প্রাথমিক তদন্তে দেখা গেছে তারা কিছুটা নেশাগ্রস্ত। তবে এখনও লিখিতভাবে এজাহার দায়ের করা হয়নি, তবু তাদের আটকে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীর বয়ান গ্রহণ করা হয়েছে, ফলে যদি কোনও এজাহার দায়ের নাও হয় তবু পুলিশ নিজের মত করে কিছু ব্যবস্থা নেবে। এলাকায় আইনশৃঙ্খলা পরিবেশ যাতে সঠিকভাবে চলে, তার জন্য কিছু দৃষ্টান্ত স্থাপন করা প্রয়োজন, তাই যুবক দুটির বিরুদ্ধে কিছু কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
পুজোর সময়ে দাসকলোনীর বিভিন্ন দোকানে অবৈধভাবে নেশাদ্রব্য বিক্রি হয়েছে বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ রয়েছে। দুর্গাপূজা এবং কালী পুজোর সময়ে এলাকায় ছোটখাটো বাক-বিতণ্ডার ঘটনাও ঘটেছে। এছাড়া রাঙ্গিরখাড়ি এলাকায় অবৈধভাবে জুয়ার আড্ডা বসেছে। এর সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে বাকি অপরাধমূলক কাজও।
Comments are closed.