
শতবর্ষে অম্বিকাপুর পূর্বপাড়ার দুর্গা মা সেজে উঠছেন সোনার অলংকারে
অম্বিকাপুর পূর্বপাড়ার দুর্গাপূজা এবার শতবর্ষে পা দিলো। তাই এবারের দুর্গাপূজা অন্য বছরকে ছাপিয়ে গিয়ে আয়োজনের ঘনঘটায় একটু বেশিমাত্রায় সেজে উঠছে।এবারও শাস্ত্রীয় প্রতিমা হচ্ছে অম্বিকাপুর পূর্বপাড়া হাসপাতাল রোডের দুর্গাপূজায়। তবে তার মধ্যেও রয়েছে বিশেষত্ব। সোনার অলংকার দিয়ে তৈরি হচ্ছে প্রতিমা। দেবীর সাজসজ্জায় এবার সোনার অলংকার ব্যবহৃত হচ্ছে। এমনকি আভূষনেও সোনার কারুকাজ থাকবে বলে জানা যায়। বলা যায়, দেবীর বসন থেকে দেবীর মুকুট অবধি সবটাতেই সোনা ও রুপোর কারুকাজের বাহার দেখা হবে। সাজসজ্জা হবে রূপার ওপর সোনার ঢালাই দিয়ে। তার জন্য দু কিলো রূপো ব্যবহৃত হবে এবং প্রায় আড়াই ভরি সোনার প্রয়োজন পড়ছে।
এদিকে এবার মূর্তি থেকে শুরু করে মন্ডপ সজ্জা কোথাও কোন রাসায়নিক রং কিংবা এ ধরনের উপকরণ ব্যবহার করা হচ্ছে না। এব্যাপারে এতটাই সর্তকতা অবলম্বন করা হচ্ছে যে মণ্ডপসজ্জা কিংবা প্যান্ডেলে ব্যবহৃত আঠা জাতীয় দ্রব্যটাও তেঁতুল বীজের তৈরি বলে জানা গেছে। মন্ডপসজ্জা পরিবেশ বান্ধব হচ্ছে। মণ্ডপসজ্জার দায়িত্বে রয়েছেন বাস্তুকার সুজিত পাল। তাকে সাহায্য করছেন রানা ও দিলীপ দাস।
এই পূজা কমিটির আয়োজিত এবারের দুর্গাপুজোতে বিশেষ আকর্ষণ হিসেবে রয়েছে পাঞ্জাবি ঢোল বাদন, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও স্মরণিকা উন্মোচন।হরিয়ানা ও পশ্চিমবঙ্গের শিল্পীরা অংশগ্রহণ করবেন অনুষ্ঠানে। তাছাড়াও মহালয়ার দিন বের হবে শতবর্ষ উপলক্ষে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা। এখানেই শেষ নয়, এরপর আয়োজন করা হয়েছে ধুনুচি নাচের। মহালয়ায় আয়োজিত শতজনের ধুনুচি নাচ এবারের পুজোয় এক অন্য মাত্রা যোগ করবে বলে দাবি পূজা কমিটির। পঞ্চমীতে মন্ডপ উদ্বোধন করা হবে। উদ্বোধন করবেন কাছাড়ের জেলাশাসক লায়া মাদ্দুরি। ষষ্ঠীর দিন উন্মোচন করা হবে শতবর্ষ উপলক্ষে প্রকাশিত স্মরণিকার। তাছাড়া শতবর্ষ উপলক্ষে রক্ত পরীক্ষা শিবির, স্বাস্থ্য শিবির থেকে শুরু করে বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কার্যসূচি পালন করা হচ্ছে।
Comments are closed.