ঘূর্ণিঝড় আম্পান সুপার সাইক্লোনে রূপান্তরিত হতে চলেছে, সতর্কবার্তা দিকে দিকে
ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘আম্পান’। মঙ্গলবার মধ্যরাতে থেকে বুধবার সন্ধ্যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের দীঘা এবং বাংলাদেশের সন্দ্বীপ দিয়ে আঘাত হানতে পারে এই ঘূর্ণিঝড়।
বঙ্গোপসাগরে ওঠা যেকোনো ঘূর্ণিঝড়েই বরাক উপত্যকা প্রভাবিত হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হবার নয়। আবহাওয়াবিদদের অনুমান অনুযায়ী ঘূর্ণিঝড়ের গতিবেগ সর্বোচ্চ ১৬৫-১৭৫ কিলোমিটার হলেও বরাক উপত্যকায় এর প্রভাব ততটা ব্যাপক হবেনা, তবে একটানা বৃষ্টিপাত চলতে পারে। বাংলাদেশে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলায় ৭ নম্বর বিপদসংকেত জারি করা হয়েছে। প্রায় ২০ লাখ লোককে নিরাপদ আশ্রয় নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা চলছে।
উপকূলবর্তী অঞ্চলে প্রবেশের সময় এর গতিবেগ উত্তর-পশ্চিম মুখী হলে ও তা পরিবর্তিত হয় উত্তর-পূর্ব দিকে ধাবিত হবে বলে আবহাওয়াবিদরা জানিয়েছেন।
১৯ তারিখ সাড়ে পাঁচটার সময় এই সুপার সাইক্লোন অবস্থান করবে ১৫ ডিগ্রি ৯ মিনিট অক্ষাংশ ও ৮৬ ডিগ্রি ৭ মিনিট পূর্ব দ্রাঘিমাংশে ৷ বাংলাদেশ এবং পশ্চিমবঙ্গের সমুদ্র উপকূলবর্তী জেলাগুলোতে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে। উড়িষ্যা, পশ্চিমবঙ্গ সরকার ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করছেন। এনডিআরএফ বাহিনী সতর্ক দৃষ্টি রাখছে, সতর্ক রাখা হয়েছে বায়ুসেনা বাহিনীকেও।
পরিস্থিতি বিবেচনায় অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ নিয়ে সোমবার বিশেষ বৈঠক করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইট করে পরে মোদী জানান, ”ঘূর্ণিঝড় আমফান নিয়ে সবরকম পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হয়েছে। সবরকম প্রস্তুতি খতিয়ে দেখা হয়েছে। কেন্দ্র সবরকম সহযোগিতা করতে প্রস্তুত। সর্বোপরি এক আশঙ্কার পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ নিয়ে কৌতূহল খুবই স্বাভাবিক। এই ঘূর্ণিঝড়টির নামকরণ হয়েছিল আজ থেকে ১৬ বছর আগে। ২০০৭ সাল থেকে ঘূর্ণিঝড়ের চূড়ান্তভাবে নামকরণ শুরু করে আবহাওয়া অধিদপ্তর। ঐ বছরের নভেম্বরে আঘাত হানা প্রলয়ঙ্কারী ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয় ‘সিডার’।
সিডারের পর তাণ্ডব চালিয়ে যাওয়া একেরপর এক ঝড়ের নামকরণ হয়- আইলা, মহাসেন, রোয়ানু, মোরা, নার্গিস, ফণী ও বুলবুল ইত্যাদি। তারই ধারাবাহিকতায় এবারের ঘূর্ণিঝড়ের নাম রাখা হয়েছে ‘আম্পান’।
এবারের নামটি দিয়েছে থাইল্যান্ড। থাই ভাষায় ‘আম্পান’ অর্থ দৃঢ়তা, স্বাধীন চিত্ত, শক্তি।
Comments are closed.