Also read in

ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা চারটি মিজোরামগামী গাড়ি ভাঙচুর করেন, নষ্ট করে দেন ডিম; তবে পুলিশ জানালো, 'এধরনের কোন রিপোর্ট তাদের কাছে নেই'

ক্ষুব্ধ স্থানীয়রা চারটি মিজোরামগামী গাড়ি ভাঙচুর করেন, নষ্ট করে দেন ডিম; তবে পুলিশ জানালো, ‘এধরনের কোন রিপোর্ট তাদের কাছে নেই’

 

অসম-মিজোরাম সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ছে। মন্ত্রী অতুল বরার “অতীত ভুলে যান” মন্তব্যে লায়লাপুর এলাকার স্থানীয়রা বিরক্ত। গতকালের বৈঠকের পর অসম সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে মিজোরামে ভ্রমণ বিষয়ক পরামর্শ প্রত্যাহার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, যাতে অসমের বাসিন্দাদের মিজোরাম ভ্রমণ না করতে অনুরোধ করা হয়েছিল। শুক্রবার থেকে আসাম থেকে ট্রাকগুলো মিজোরাম যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু স্থানীয়রা এই পরিস্থিতি নিয়ে মোটেই খুশি নন এবং তারা মিজোরামগামী গাড়িগুলোকে আটকে দেবেন বলে জানালেন।

অসমের অভিভাবক মন্ত্রী ইতিমধ্যেই বলেছেন, “আমরা জনসাধারণকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারি, কিন্তু তাদের আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারিনা।” লায়লাপুর বিইএটি অফিস থেকে সেই পোস্ট পর্যন্ত যেখানে মিজো বাহিনীর হাতে অসমের ছয়জন পুলিশ সদস্য নিহত হয়েছিলেন, সেখানে কেবলমাত্র কেন্দ্রীয় সশস্ত্র পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়। তবে সেই বিশেষ পোস্টটি বিতর্কিতভাবে মিজো বাহিনীর দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং এর বাইরে কোন কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা নেই।

“আমরা লায়লাপুর দিয়ে কোন যানবাহন যেতে দেব না, যতক্ষণ পর্যন্ত না মিজোরাম তাদের ফোর্স ওই জায়গা থেকে প্রত্যাহার করছে না, যেখানে পুলিশ কর্মীদের ওপর হামলা হয়েছে। এই স্থানটি কেন্দ্রীয় বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করা হোক, তাতে আমরা খুশি। কিন্তু মিজো বাহিনীকে সেই স্থান থেকে পিছু হটতে হবে নিহত ভারতীয় সৈন্যদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে।” বললেন ভাগা বাজারের নিউমার্কেট এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা।

করিমগঞ্জ থেকে মিজোরামের দিকে চলাচলকারী চারটি ছোট আকারের ট্রাক নতুন বাজার এলাকার কাছে জনগণ আটকে দেন। স্থানীয়রা জিজ্ঞেস করেন গাড়িগুলো কোথায় যাচ্ছে। যখন চালক মিজোরামের কথা বলেন, তখন স্থানীয়রা ট্রাকগুলো ভাঙচুর করতে শুরু করেন এবং ডিমগুলো রাস্তায় ছুড়ে ফেলে দিয়ে নষ্ট করে দেন। দুটো গাড়িকে খুব খারাপভাবে ভাঙচুর করা হয় এবং দুটো গাড়ি সামান্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

মিজোরাম ভ্রমণের বিষয়ে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার আমরা মেনে নিয়েছি। কিন্তু প্রশাসনের সঙ্গে যথাযথ আলোচনা ছাড়া অর্থনৈতিক অবরোধ প্রত্যাহার করা হবে না।তবে আলোচনার আগে মিজো বাহিনীকে পোস্ট থেকে প্রত্যাহার করতে হবে।ভাইরেংটি গেট পর্যন্ত যা কিনা অসমের কাছাড় জেলার সীমানা এবং মিজোরামের কোলাশিব জেলার সীমানা, সেখানে শুধুমাত্র কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হবে।

এদিকে ধোলাই পুলিশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানান, ভাংচুরের বিষয়ে তারা এখনও কোনো রিপোর্ট পাননি। এই বিষয়ে রিপোর্ট করা হলে অবশ্যই তারা আইন অনুযায়ী কাজ করবেন। গতরাতে লায়লাপুর এলাকার কাছে সুপারিবাহী আরেকটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়।

Comments are closed.