Also read in

বিরল প্রজাতির এক হরিণকে বনবিভাগের হাতে তুলে দিলেন পশু প্রেমিক করিম উদ্দিন

মানুষের প্রতি মানুষের ভালোবাসা যখন আজকের এই পৃথিবীতে কখনো কখনো প্রশ্নচিহ্নের মুখোমুখি, তখন দুধ পাতিল গ্রামের করিম উদ্দিনের এক পশুর প্রতি ভালোবাসা মানবতার ক্ষেত্রে অবশ্যই এক ইতিবাচক দিক এবং সৌন্দর্যের প্রতীক। “বন্যেরা বনে সুন্দর, শিশুরা মাতৃক্রোড়ে” কথাটা মেনে করিম উদ্দিন বিরল প্রজাতির একটি হরিণকে বনবিভাগের হাতে তুলে দিলেন। বন বিভাগ এটিকে আবার বনে ছেড়ে দেবে, যেখান থেকে হরিণটি দলছুট হয়ে বেরিয়ে এসেছিল।

জানা গেছে, ঘটনাটি ঘটেছে আজ সকালে দুধ পাতিল গ্রামের করিল বিলে। সকাল সাড়ে নটার সময় করিমউদ্দিন যখন কাজের উদ্দেশ্যে বিলের পাশ দিয়ে যাচ্ছিলেন তখন হঠাৎ তার চোখে পড়ে হরিণটি। প্রথমে তিনি যদিও এটিকে শেয়াল বলে ভুল করেছিলেন, কিন্তু সামনে যেতেই বুঝতে পারেন এটি একটি হরিণ। হরিণটি কাদায় পড়ে কাতরাচ্ছিল। তিনি সঙ্গে সঙ্গে চিৎকার করে গ্রামবাসীদের জড়ো করেন। গ্রামবাসীসহ করিমউদ্দিন হরিণটিকে নিজের বাড়িতে নিয়ে যান। যত্ন করে হরিণের গায়ের কাদা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করেন। সঙ্গে সঙ্গে খবর দেওয়া হয় বন বিভাগকে।

বন বিভাগ থেকে লোকজন আসার পর তাদের হাতে সমঝে দেওয়া হয় হরিণটিকে। বন বিভাগের কর্মকর্তারা জানান এটি একটি বিরল প্রজাতির হরিণ।অনেক সময় যখন আইনত দণ্ডনীয় জেনেও অনেককে হরিণ মেরে হরিণের মাংস খেতে শোনা যায়, তখন পশু প্রেমিক করিম উদ্দিন সে সুযোগকে দূরে সরিয়ে হরিণটিকে উদ্ধার করে বনে ফিরিয়ে দিলেন। “জীবে প্রেম করে যেইজন, সেইজন সেবিছে ঈশ্বর” -হয়তোবা এই বাণীর এক সুন্দর উদাহরণ দুধ পাতিল গ্রামের এই করিম উদ্দিন।

Comments are closed.