এপিএসি পরীক্ষায় হাইলাকান্দির মারিয়া প্রথম, ঈষাণ সপ্তম, সৌভিক অষ্টাদশ স্থান দখল করল
এ পি এস সি পরীক্ষায় প্রথম, সপ্তম ও অষ্টাদশ স্থান দখল করে বরাক উপত্যকার মুখ উজ্জ্বল করেছেন হাইলাকান্দি ও শিলচরের তিন প্রার্থী।
এপিএসি পরীক্ষায় প্রথম স্থান অর্জন করেন হাইলাকান্দি জেলার লালার মেয়ে মারিয়া তানিম। শুক্রবার ঘোষিত ফলাফলে তিনি প্রথম স্থান অর্জন করে লালা তথা বরাকের মুখ উজ্জ্বল করেছেন।
লালা কলেজ রোডের বাসিন্দা অবসরপ্রাপ্ত বিডিও কুতুব উদ্দিন বড়ভুইয়া ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা ইসমতারা বড়ভুইয়ার কন্যা মারিয়ার উল্লেখযোগ্য সাফল্যে লালা সহ হাইলাকান্দির মানুষ অত্যন্ত খুশি। লালা অঞ্চলের বিভিন্ন মহল থেকে তাঁকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, শিলচর সেন্ট্রাল স্কুল থেকে মারিয়া কৃতিত্বের সাথে মাধ্যমিক পাস করেন। উচ্চমাধ্যমিকও শিলচর সেন্ট্রাল স্কুল থেকে বিজ্ঞান বিভাগে ৬৮ শতাংশ নম্বর নিয়ে পাশ করেন। এরপর দিল্লীর এমিটি ইউনিভার্সিটি থেকে বায়ো টেকনোলজিতে বি-টেক করেন।
মারিয়া তার এই সাফল্যে বরাক বুলেটিনের প্রতিনিধিকে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি। আমার পরিশ্রম সফল হয়েছে। আমার এই সাফল্য পথে মা-বাবার সম্পূর্ণ সহযোগিতা ছিল।
“কলেজ থেকে প্লেসমেন্ট পাওয়ার পর বেঙ্গালুরুতে কাজে যোগ দেই। তারপর গুয়াহাটিতে আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কে জয়েন করি। তারপর আমি সিভিল সার্ভিসের পরীক্ষার জন্য নিজেকে তৈরি করি।ঐ চাকরিতে আমি মোটেই সন্তুষ্ট ছিলাম না। আর এটাই সিভিল সার্ভিস পরীক্ষার জন্য আমাকে তৈরি করতে উদ্বুদ্ধ করে।” জানালেন মারিয়া।
এদিকে শিলচর থেকে দুইজন সপ্তম ও অষ্টাদশ স্থান দখল করেছেন। শিলচরের রংপুরের বাসিন্দা কে ঈষান সিং সপ্তম স্থান দখল করেন। আসাম পুলিশের অবসরপ্রাপ্ত সাব ইন্সপেক্টর বাবুই সিংয়ের ছেলে ঈষান।
অষ্টাদশ স্থানটি দখল করেন শিলচরের সৌভিক দত্ত। সৌভিকের বাবা মালু গ্রামের বাসিন্দা প্রণব দত্ত ফিসারি ডিপার্টমেন্টের সিনিয়র অফিসার। এটি অবশ্যই বরাক উপত্যকার জন্য বিরাট সাফল্য।
Comments are closed.